শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুরের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এই আসনটি খালি হয়। গত বিধানসভা ভোটে চাচাকে হারিয়ে জয়ী হন দিলীপবাবু। লোকসভা ভোটে দিলীপবাবু এই বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় ৪৫ হাজার ভোটে এগিয়ে যান। অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে শাসক দল তৃণমূল। একই অবস্থা হয় দীর্ঘদিন ধরে এই আসনে জিতে আসা কংগ্রেসেরও। বিজেপির ঝোড়ো হওয়ায় উড়ে যায় বামফ্রন্টও। এবার বিধানসভা উপনির্বাচনে সবাই তাই কোমর বেঁধে নামছে। জঙ্গলমহলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পর খড়্গপুরে তৃণমূলের সংগঠনকে ঘুরে দাঁড় করাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ভালো সাড়াও পেয়েছেন। পুরসভায় ডেপুটেশন দিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে সিপিএমও।
যদিও কংগ্রেস এখনও সেভাবে নামেনি। তবে প্রার্থী হিসেবে দু’জনের নাম তারা জেলার মাধ্যেমে প্রদেশকে জানিয়ে দিয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একজন বর্তমান ও একজন প্রাক্তন কাউন্সিলারকে প্রার্থী হিসেবে ঠিক করা হয়েছে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন খান বলেন, খড়্গপুর শহর কংগ্রেস দু’জনের নাম পাঠিয়েছে। এই আসনে গতবারের মতো এবারও আমরা বামফ্রন্টের সঙ্গে সমঝোতা করেই লড়াই করব। আমাদের প্রার্থীকে বামেরা সমর্থন করবে।
বসে নেই বিজেপিও। এদিন খড়্গপুর শহরের একটি জায়গায় তাদের সাংগঠনিক বৈঠক হয়। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গোপন বৈঠকে বিধানসভার উপনির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়। শহরের বাছাই করা নেতৃত্বের এই বৈঠকে একাধিক রাজ্য নেতৃত্বও উপস্থিত ছিল। সেখানে উপনির্বাচন নিয়ে বেশকিছু নির্দেশ দেওয়া হয়। বৈঠক যে হয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন দলের দুই সহ সভাপতি গৌতম ভট্টাচার্য ও প্রেমচাঁদ ঝা। তবে বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা তাঁরা বলতে চাননি।
তৃণমূল কংগ্রেসের শহর সভাপতি রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, আমাদের পর্যবেক্ষকরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভালো কাজ করছেন। আমরা এখন পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে জনসংযোগের উপর বিশেষ জোর দিয়েছি। তার উপর দিদিকে বলো কর্মসূচি তো হচ্ছেই।
উল্লেখ্য, আগামী ২৪ জুলাই মেদিনীপুরে বড় সভা করবে জেলা সিপিএম। সেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র উপস্থিত থাকবেন। তা নিয়েই এদিন সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। তরুণবাবু বলেন, ওই সমাবেশেও কংগ্রেস নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। তৃণমূল বিজেপি বাদে কংগ্রেস সহ বামপন্থী ও ধর্মনিরপেক্ষ সব শক্তিকেই আমরা আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। কিন্তু সিপিএম নেতৃত্ব ছাড়া অন্য কোনও দলের নেতা বক্তব্য রাখবেন না।
তিনি বলেন, বিজেপিতে চলে যাওয়া প্রায় ১৫০ জন স্থানীয় স্তরের নেতা ও সক্রিয় কর্মীকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। তাঁদের আর কোনওদিন দলে নেওয়া হবে না। তবে ভুল বুঝে ও আরএসএসের কৌশলী প্রচারের জন্য যেসব বামপন্থী মানুষ বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা ফিরে আসছেন।