পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
জলপাইগুড়ি সদর ট্রাফিকের আইসি অমিতাভ দাস বলেন, শহরে বাইক রেসিং বন্ধে আমরা রাস্তায় হাম্প করছি। গার্ডরেল বসাচ্ছি। ট্রাফিক পোস্টের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। যেসব জায়গা থেকে বাইক রেসিংয়ের অভিযোগ আসছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে হেলমেট না পরা, টোটোয় পণ্য পরিবহণ সহ ট্রাফিক আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ট্রাফিক আইন না মানায় জলপাইগুড়ি সদর থানা এলাকায় প্রতিমাসে গড়ে ৩০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শহরের রাস্তায় বাইক রেসিং নিয়ে উদ্বিগ্ন খোদ পুলিস সুপার উমেশ খণ্ডবাহালে গণপত। সম্প্রতি কোতোয়ালি থানা মোড়ে পথ নিরাপত্তা সপ্তাহের সূচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, শহরের ভিতর দিয়ে কেউ কেউ ৭০-৮০ কিমি গতিবেগে বাইক ছোটাচ্ছেন। জাতীয় সড়কের চেয়ে এখন শহর ও গ্রামের রাস্তাতেই বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে। পথ নিরাপত্তা সপ্তাহের ওই অনুষ্ঠানে জেলাশাসক ও পুলিস সুপারের সামনে জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল অভিযোগ করেন, আমার বাড়ি শহরের কদমতলা এলাকায়। আমি রোজ দেখি, রাত ন’টা বাজলেই কেউ আর বাইকে হেলমেট পরছেন না। বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক।
জেলা পুলিস সুপার বলেন, আমরা বারবার হেলমেট পরতে বলছি। কিন্তু অনেকেই হেলমেট পরছেন না। শুধু জরিমানা করাটাই সব নয়। সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। আমরা ঠিক করেছি, স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে পথ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলব, যাতে তারা বাড়ির বড়দের শেখাতে পারে।
এদিন নো হেলমেট অ্যাওয়ার্ড ডে পালন করলেন জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র অব কমার্স কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। শহরের থানা মোড় সংলগ্ন বাবুপাড়া, কদমতলা ও তিন নম্বর ঘুমটিতে চালকদের হাতে গোলাপ ফুল তুলে দেন পড়ুয়ারা।
গত বছর জলপাইগুড়ি জেলায় ৫০৪টি দুর্ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। এর জেরে মৃত্যু হয় ১৪১ জনের। জখম হন ৬৩০ জন। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে জলপাইগুড়ি জেলায় পথ দুর্ঘটনা ঘটেছিল ৪৬৩টি। সেবার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৫২ জনের। গত বছরের তুলনায় এবার জেলায় অন্তত দশ শতাংশ দুর্ঘটনা কমানোর টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন পুলিস সুপার। নিজস্ব চিত্র।