পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
পুরসভার এক সাফাই কর্মী বলেন, সাফাইয়ের কাজ করে আমাদের সংসার চলে। মাসে ৬ হাজার টাকা করে পাই। সেই টাকাও যদি প্রতি মাসে না পাই তাহলে সংসার চলবে কী করে? সাফাইকর্মীদের দাবি, পুরসভা এলাকা পরিষ্কার রাখতে প্রায় সাতশো সাফাইকর্মী রয়েছেন। তাদের মধ্যে একশোর মতো সাফাই কর্মীকে গত ডিসেম্বর মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে। বাকি সবার বেতন বাকি। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি-দু’মাসের বেতন তাঁরা পাননি। সাফাইকর্মীদের হুঁশিয়ারি, বেতন না পাওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে।
সাফাইকর্মী হরিজন সংগঠনের জেলা সভাপতি বিন্দেশ্বর জমাদার বলেন, বেতন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান চেয়ে আগে অনেকবার আমরা পুরপ্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। পুরপ্রশাসকরা কথা দিয়েও কথা রাখেননি।
বিন্দেশ্বরের অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা পালন করছে না পুরসভা। এর আগেও একাধিকবার বেতনের দাবিতে আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি। বকেয়া বেতন না পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলবে।
সাফাই বন্ধ থাকায় শহরের যেখানে-সেখানে জঞ্জাল পড়ে রয়েছে স্তূপাকারে। পরিষ্কার হচ্ছে না নিকাশিনালাও। রায়গঞ্জ পুর এলাকায় সাফাই নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন পুর নাগরিকরা। বাড়ি থেকে জঞ্জাল নিয়ে না যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন শহরবাসী। জলের ট্যাপের পাশেই পড়ে থাকছে আবর্জনা। জল নিতে গিয়ে আবর্জনার গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষ। রায়গঞ্জের বাসিন্দা শুভ্রশঙ্কর নাগ বলেন, শহরে যত্রতত্র জঞ্জাল পড়ে থাকবে, এটা কখনই কাম্য নয়। শহরবাসী নিয়মিত কর দেন। শহর পরিষ্কার থাকবে এটাই স্বাভাবিক। যারা দায়িত্বে আছেন তাঁদের বিষয়টি দেখা উচিত।
সাফাইকর্মীদের এই কাজ বন্ধের বিষয়টিতে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন রায়গঞ্জ পুরসভার প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস। তাঁর দাবি, সাফাইকর্মীদের একাংশের উস্কানিতে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছে পুরসভা। সাফাইকর্মীদের কর্মবিরতি প্রসঙ্গে পুরপ্রশাসক বলেন, দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে। সাফাইকর্মীদের একাংশ বাদে বেশিরভাগ সাফাই কর্মীরা কাজ করছেন। রায়গঞ্জে রাস্তার পাশে আবর্জনার স্তূপ। - নিজস্ব চিত্র।