পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার কল্যাণ খাঁ অবশ্য জানিয়েছেন, তদন্ত প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা রিপোর্ট স্বাস্থ্যভবনে পাঠিয়ে দেব। বৃহস্পতিবার প্রসূতির পরিবারের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত,গত ২৯ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে ভর্তি হন কোতোয়ালি থানার কচুয়া নন্দনপুরের বাসিন্দা সান্ত্বনা রায়। ৩০ তারিখ সিজারে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। এরপর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ৩ জানুয়ারি তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে রেফার করা হয়। সেখানে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় ২৪ জানুয়ারি। পরিবারের দাবি মেনে মৃতার দেহের ময়নাতদন্ত হয় ২৬ জানুয়ারি। এদিকে, শিলিগুড়িতে ভেন্টিলেশনে থাকার সময়ই জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতি নিয়ে ২০ জানুয়ারি অভিযোগ দায়ের করে ওই প্রসূতির পরিবার। জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানাতেও অভিযোগপত্র জমা দেয় তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের তরফে সান্ত্বনার পরিবারকে জানানো হয়, পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া হবে। কিন্তু সেই তদন্ত রিপোর্ট এখনও সামনে আনা হয়নি। আর এনিয়েই প্রশ্ন তুলেছে মৃতার পরিবার।
মৃতার দেওর সুনীল মাতব্বর এদিন জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, এমএসভিপি’র অফিস থেকে আমাদের এদিন আসতে বলা হয়েছিল। ভেবেছিলাম, আমাদের হাতে তদন্ত রিপোর্ট তুলে দেওয়া হবে। তাতে আমরা জানতে পারব, কেন আমার বউদির এমন পরিণতি হল? কিন্তু আসার পর আমাদের জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের তরফে বলা হয়, তদন্ত রিপোর্ট আমাদের দেওয়া হবে না। সেটা স্বাস্থ্যভবনে পাঠাবে তারা। স্বাস্থ্যভবন যদি মনে করে, তারপর সেই রিপোর্ট আমাদের জানাবে। এটা কেমন বিষয় বুঝতে পারছি না। এবার তো আমাদের মনে হচ্ছে, জাল স্যালাইন কিংবা কোনও ভুল ওষুধের কারণেই সঙ্কটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়ে বউদির মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।
মৃতার আরএক দেওর প্রভাত মাতব্বর বলেন, আমাদের যে তদন্ত রিপোর্ট দেওয়া হবে না, সেটা তো ফোনেই বলে দেওয়া যেত। আসলে রোগীর পরিবারকে ডাকা হয়েছে, এটা দেখানোর জন্যই জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ এদিন আমাদের আসতে বলে। তবে আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। সুপারের সঙ্গে দেখা করতে মেডিক্যাল মৃতার পরিজনরা। - নিজস্ব চিত্র।