শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ। ডাক্তার, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, হস্তশিল্পী প্রভৃতিদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরের যানজট সমস্যা মেটাতে দীর্ঘদিন ধরে তৎপর পুরসভা। কয়েক বছর আগেই তারা এ ব্যাপারে সমীক্ষা শুরু করে। এজন্য একটি সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়। সেই সংস্থা সার্ভের কাজ শেষ করেছে বলে এদিনের বোর্ড মিটিংয়ে জানান ডেপুটি মেয়র। পরে তিনি বলেন, হিলকার্ট রোডের মহাত্মা গান্ধী মোড় থেকে মহানন্দা সেতুর নীচ দিয়ে বিস্তৃত মোহন বাগান লেন। সেই রাস্তা থেকে মহানন্দা নদীর পার দিয়ে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের স্টেট গেস্ট হাউস পর্যন্ত ৮ কিমি লম্বা একটি রাস্তা তৈরি করা হবে। সেটি চওড়া হবে প্রায় সাড়ে ৭ মিটার। কয়েকটি কালভার্ট এবং মহানন্দা নদীর উপর একটি সেতু তৈরি করা হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় বেশকিছু সরকারি জমি রয়েছে। সেই জমি ব্যবহার করা হবে। বেসরকারি জমি যতটা কম নেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করা হবে। প্রাথমিক সার্ভের রিপোর্ট অনুসারে সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে ১০০টির মতো বাড়ি সরাতে হতে পারে।
প্রস্তাবিত পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে শহরের যানজট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ হবে বলে পুর কর্তৃপক্ষের ধারণা। শহরের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হিলকার্ট রোড ও সেভক রোড। যানজটের জেরে দু’টি রাস্তাই কার্যত জেরবার। মহানন্দা নদীর পাড় দিয়ে প্রস্তাবিত রাস্তাটি তৈরি হলে অনেক যানবাহন হিলকার্ট রোড থেকে সহজে জাতীয় সড়কে উঠতে পারবে। আবার প্রস্তাবিত রাস্তা থেকে সহজে সেভক রোড, বিধান রোড, দশরথপল্লি প্রভৃতি এলাকায় যাওয়া যাবে। এতে হিলকার্ট রোড, সেভক রোড ও বিধান রোডের উপর যানবাহনের চাপ কিছুটা কমবে বলেই মনে হচ্ছে। এছাড়া শহরে আরও কিছু রাস্তা সম্প্রসারিত হচ্ছে। এককথায় শহরের রোড নেটওয়ার্ক চাঙ্গা করার কাজে হাত দেওয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, পার্কিং লট তৈরির দাবিও বহুদিনের। স্থানীয়দের বক্তব্য, রাজ্যের অন্যতম বড় এই শহরে বড়মাপের পার্কিং লট নেই। তাই রাস্তার পাশে যত্রতত্র সাইকেল, বাইক, ছোটগাড়ি পার্ক করা হয়। শহরের বিভিন্ন এলাকায় যানজটের মাত্রা বেড়েছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। এজন্যই শহরে বহুতল পার্কিং লট তৈরির দাবি উঠেছে। এবার সেই দাবি পূরণেও উদ্যোগী পুরসভা।
ডেপুটি মেয়র বলেন, সেভক রোডে টিবি হাসপাতালের কাছে চারতলা পার্কিং লটের জন্য ২.৬ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। ৪০০ গাড়ি রাখা যাবে। পিপিপি মডেলে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হবে। শীঘ্রই এজন্য ডিপিআর প্রস্তুত করে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে।