শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ। ডাক্তার, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, হস্তশিল্পী প্রভৃতিদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ
পুলিস সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন,বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে অস্ত্র আসছে। অস্ত্র কারবারিরা সড়ক পথের পাশাপাশি জলপথও ব্যবহার করছে।
পুলিস ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈষ্ণবনগরে মদের আসরে গুলিকাণ্ডে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রদীপ কর্মকার নামে ব্যক্তির। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, পরে সেখান থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয় নিরঞ্জনকে। বৃহস্পতিবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
ইংলিশবাজারে বাড়ির কাছে গত ২ জানুয়ারি গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বাবলা সরকার। এর ঠিক ১২ দিনের মধ্যেই কালিয়াচকের নওদা যদুপুরে তৃণমূল নেতা বকুল শেখকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। বকুল বেঁচে গেলেও দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী আতাউর হকের। এরপর গত মঙ্গলবার বিকেলে কালিয়াচকের বৈষ্ণবনগরে মদের আসরে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটে। প্রত্যেকটি ঘটনাতেই দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করে শ্যুটআউটে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিস। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা যায়, এই তিনটি শ্যুটআউটের ঘটনায় উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলি ওয়ান শটার। অর্থাৎ লোহার পাইপ দিয়ে তৈরি দেশি কাট্টা। চোরাপথে বিহারের মুঙ্গের থেকে মালদহে আসছে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র।
জেলা পুলিসের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, মালদহের কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর, হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়া, চাঁচল সহ বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে মাঝে মধ্যেই পাচারের সময় পুলিসের জালে ধরা পড়ছে ওয়ান শটার, সেমি অটোমেটিক সেভেন ও নাইন এমএম পিস্তল ও তাজা কার্তুজ। যেটা এক সময় সড়ক এবং কখনও আবার রেলপথে বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে মালদহে ঢুকত। সড়ক ও রেলপথে পুলিসি নজরদারি আগের তুলনায় অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। সেই কারণেই এখন অস্ত্র কারবারিরা নয়া রুট, জলপথ বেছে নিয়েছে।
সূত্রের খবর, চোরাপথে আসা একটি ওয়ান শটারের দাম ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা। বেআইনি সেমি অটোমেটিক সেভেন এমএম পিস্তলের দাম ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। সেমি অটোমেটিক নাইন এমএম পিস্তল বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকায়। বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের বেশিরভাগটাই আসছে বিহারের মুঙ্গের থেকে। সেই রুট ভেঙে দিয়ে কারবারে রাশ টানাই এখন পুলিসের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। তদন্তে পুলিস।