কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
কোথা থেকে এই জল আসছে? মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ তলায় রয়েছে প্রসূতি বিভাগ। সেখানে জমা জল ছাদ ফুটো হয়ে পড়ছে। তবে সেটা শৌচাগারের নাকি এমনি পানীয় জল, সে বিষয়ে সন্দিহান সকলেই। শুধু একটি জায়গায় এই সমস্যা নয়, ছাদের একাধিক জায়গায় একই পরিস্থিতি।
সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভাইপোকে ভর্তি করেছেন আয়েশা বিবি। তাঁর অভিযোগ, যে বেডে ভাইপো ভর্তি করা হয়েছে, ঠিক তার সামনে জল চুঁইয়ে পড়ছে। ফাটল দেখা দিয়েছে ছাদে। যে কোনও মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দশতলা বিল্ডিংয়ের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে বারবার অভিযোগ ওঠে। জল নিকাশি ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিলেও তার সমাধানসূত্র এখনও বের করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। শৌচালয়ে নোংরা জল জমতে জমতে ছাদে ফাটলও দেখা দিয়েছে।
রোগীর পরিজন চন্দনা অধিকারীর কথায়, আমার স্বামী সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি। কিন্তু শৌচালয় এতটাই নোংরা যে তাঁকে নিয়ে যেতে পারছি না। হাসপাতালে মানুষ সুস্থ হতে এসে এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আরও অসুস্থ হয়ে পড়বে।
মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ সমস্ত দায় ঠেলেছে স্বাস্থ্যদপ্তরের ঘাড়ে। ভারপ্রাপ্ত এমএসভিপি বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিং দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে সরকারি সংস্থা। জল নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করার জন্য তাদের অনেকবার জানানো হয়েছে। হাসপাতাল পরিষ্কার করার জন্য বেসরকারি সংস্থাকে বরাত দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। তাই সবটাই তাদের দেখার কথা।