কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
বিষয়টি স্বীকার করে কর্তৃপক্ষের দাবি, শিক্ষকদের উদ্যোগে শিশুদের খাবার দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার পাঁচজন উপস্থিত ছিল। তাদের মিষ্টি এবং বিস্কুট খেতে দেওয়া হয়েছে। কেন পড়ুয়া সংখ্যা এত কম? স্কুলের ছাত্র বাড়ানোর জন্য কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে? প্রধান শিক্ষক পল্টন বিশ্বাস বলেন, আমি ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে যোগ দিয়েছিলাম। তখন ছাত্র সংখ্যা ছিল মাত্র দু’জন। ওই সময় থেকেই মিড ডে মিল বন্ধ রয়েছে। আগের দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন। আমিও জানিয়েছি। ছাত্র বাড়ানোর জন্য গ্রামের অনেকের বাড়ি গিয়েছি। তাঁরা বলেছিলেন,স্কুলে আগে পড়াশোনা ভালো হতো না। সেজন্য সন্তানদের অন্যান্য স্কুলে ভর্তি করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় ধরইল প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। ২০২২ সালের আগে থেকেই স্কুলে পড়ুয়ারা সংখ্যা কমতে থাকে। ২০২৪ সালে ৬ জন ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় হেমব্রম বলেন, আগে স্কুলে পড়াশোনা ভালো হতো না। কেউ মন দিয়ে পড়াতেন না। সেজন্য আমরা সন্তানদের ভর্তি করতাম না। শিশুরা পাশের হাতিমারি স্কুলে পড়ে।
গাজোল সার্কেলের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রশান্ত রায়ের কথায়, কম পড়ুয়া রয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ স্থানীয় ও ব্লক প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে। আমরাও দেখেছি পড়ুয়া অত্যন্ত কম বলে মিড ডে মিল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
গাজোল ব্লক প্রশাসনের মিড ডে মিলের দায়িত্বে থাকা আজনিস হোসেন বলেন, সাতজনের জন্য রান্না সম্ভব নয়। পাশের স্কুলে রান্না করে পড়ুয়াদের খাওয়ানো যেতে পারে। স্থানীয় অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে পড়ুয়াদের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। - নিজস্ব চিত্র