কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
বুধবার মধ্যরাতে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দুষ্কৃতীদল সাব স্টেশনের প্রাচীরের কাঁটাতার কেটে ভিতরে ঢোকে। এরপর ৫ থেকে ৬ জন দুষ্কৃতী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের অস্থায়ী ঘরে ঢুকে দুই নিরাপত্তা রক্ষীর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে মারধর করে। অভিযোগ, দলটির সবার হাতে ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তারপরে নিরাপত্তারক্ষীদের হাত পা বেঁধে ঝুলিয়ে রাখে। পাশে আরও একটি নিরাপত্তারক্ষীদের অস্থায়ী ক্যাম্পে ঢুকে একই কায়দায় তাঁদের মারধর করে বেঁধে রাখে। দুষ্কৃতীরা শূন্যে গুলি চালায় ও রক্ষীদের প্রাণে মারার হুমকি দেয়। সাব স্টেশনের স্টোররুমের সাটার ভেঙে কপার ও অ্যালুমিনিয়ামের বিভিন্ন সরঞ্জাম লরিতে তুলে নেয়। ‘অপারেশন’ সফল করে সাব স্টেশন থেকে চম্পট দেয় দলটি। খবর পেয়ে সাব স্টেশনে আসে গঙ্গারামপুর থানার পুলিস।
বিষয়টি জেলা পুলিস জানতে পেরে দুষ্কৃতীদের আটকাতে হরিরামপুরের মেহেন্দিপাড়া ও কুশমণ্ডির সন্ন্যাসীতলা এলাকায় নাকা চেকিং চলে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিস সুপার চিন্ময় মিত্তাল সহ আধিকারিকরা। সাব স্টেশনের ইঞ্জিনিয়ার শুভঙ্কর সাহা বলেন, শীতের রাত হওয়ায় পাশে আবাসনে থাকলেও কিছুই বুঝতে পারিনি। বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কুয়াশার কারণে ডাকাতি করে দলটি জেলা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
ছ’মাস আগেও এই সাব স্টেশনে ব্যাটারি চুরি যায়। সাব স্টেশনে কোনও সিসি ক্যামেরা ছিল না। সাব স্টেশন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, প্রায় ৪ লক্ষ টাকার বিদ্যুতের সরঞ্জাম ডাকাতি হয়েছে। সাব স্টেশনে সিসিটিভি লাগানোর প্রসেসে আছে। নিরাপত্তা রক্ষী বিলদার হোসেন বলেন, মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে আমাকে রড দিয়ে মারধর করে। তারপর হাত পা বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখে। শূন্যে গুলিও চালায়। ডাকাতির পর বৃহস্পতিবারও কর্মীরা আতঙ্কে। এসপি বলেন, বুধবার রাতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের বেঁধে রেখে বিদ্যুতের সরঞ্জাম চুরি হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করেছি। দলটি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে কি না খতিয়ে দেখছি। - নিজস্ব চিত্র।