কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
তবে বিএসএফের ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ারের এক পদস্থ আধিকারিক বৃহস্পতিবার ফোনে জানান, কাঁটাতার বসানোর কাজ বুধবার দুপুরের পর থেকে স্থগিত রয়েছে। তবে সেটা বাধার জন্য নয়। যে কোনও মুহূর্তে কাজ শুরু হবে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সমস্যাটি বুঝতে পেরেছে। বুধবার পর্যন্ত তিনবার ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে। বিজিবিকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, নিজেদের এলাকাতেই কাঁটাতার দেওয়া হয়েছে। এতে দু’দেশেরই উপকার হবে। বিষয়টি বিজিবি মেনে নিয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার নতুন করে বৈঠক হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই কর্তা।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর,শুকদেবপুর এলাকার বাসিন্দারা ওই এলাকায় নিজেদের ভুখণ্ড রক্ষার জন্য বিএসএফের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রস্তুত। ওই কাঁটাতারহীন এলাকায় প্রচুর সংখ্যায় মোতায়েন করা হয়েছে বিএসএফ জওয়ান। এছাড়া কাঁটাতার দিতে বাধা পাওয়ার পরই বিএসএফ কিছু বাঙ্কার তৈরি করেছে। বিএসএফের ডেপুটি কমান্ডান্ট হনুমান প্রসাদ জানিয়েছেন, সাময়িক কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
গত রবিবার রাত থেকেই শুকদেবপুর সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বুধবার দুপুরেও নিজেদের আপত্তি জানিয়ে বিএসএফকে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য করে বিজিবি। এরপর থেকেই ওই এলাকা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা প্রচুর সংখ্যায় ইট এবং পাথর নিয়ে ওই এলাকায় জড়ো হন।
এদিকে কাঁটাতার বসানোর কাজ সাময়িক বন্ধ থাকায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন শুকদেবপুর এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, ভারত নিজের জমিতে কাঁটাতার দেবে, তাতে বিজিবির সমস্যা কোথায়? স্থানীয় বাসিন্দা নয়ন সিংহের কথায়, ভারত সরকারের উচিত বাংলাদেশের ওপর কূটনৈতিক চাপ তৈরি করে নিজেদের সীমান্তকে সুরক্ষিত করতে দ্রুত কাঁটাতার দেওয়া।
এদিকে ওই এলাকা পরিদর্শনে যান বৈষ্ণবনগরের বিধায়ক চন্দনা সরকার। তিনিও বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। বলেন, ভারত তাদের নাগরিকদের সুরক্ষিত করার জন্য কাঁটাতার দেবেই। বিজিবির বাধা দেওয়ার কোনও এক্তিয়ার নেই।