কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
বিগত কয়েক বছর ধরেই মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও টোকাটুকি রুখতে তৎপর পর্ষদ। ইতিমধ্যে তারা প্রশ্নপত্রে কিউআর কোড ব্যবস্থা চালু করেছে। গত বছর একগুচ্ছ সতর্কীকরণ সহ স্কুলের দেওয়ালে পোস্টার সাঁটা হয়েছিল। পর্ষদের ওয়েবসাইটে ছিল বিজ্ঞপ্তি। তারপরেও হাল বদলায়নি। পরীক্ষা চলাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েছিল বলে অভিযোগ। এবার যাতে ওই ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য পরীক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি প্রচার চালানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে পর্ষদের হাতিয়ার টেস্টপেপার।
পর্ষদের সভাপতি বলেন, ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করানো হয়। নেপথ্যে রয়েছে কোনও চক্র। লোকজন সচেতন হলেই এটা রোখা সম্ভব। এজন্য টেস্টপেপারের মাধ্যমে অভিভাবকদের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন সহ ইলেকট্রনিকস গেজেট নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে অমান্য করবে, তার সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করা হবে। এবার প্রায় ১০ লক্ষ টেস্টপেপার বিলি করা হয়েছে।
এদিকে, মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও টোকাটুকির ঘটনায় প্রায় ফি বছরই ঘটে মালদহে। সংশ্লিষ্ট জেলা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে পর্ষদ। ইতিমধ্যে তারা ওই জেলাকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পর্ষদ সূত্রে খবর, মোবাইল ফোন ব্যবহারের অভিযোগে গতবছর রাজ্যে প্রায় ৪৫ জনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল। যারমধ্যে ৪০ থেকে ৪২ জনই ছিল মালদহের। পর্ষদ সভাপতি বলেন, এবার যাতে সেধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য সংশ্লিষ্ট জেলায় আমি নিজে তিনদিন ছিলাম। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্নজনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এছাড়া, গত ২৯ নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিটি জেলায় পরীক্ষা নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করেছি।
এদিন শিলিগুড়ির দীনবন্ধুমঞ্চে উত্তরবঙ্গের আট জেলার প্রধান পরীক্ষকদের নিয়ে সভা করে পর্ষদ। সভায় পর্ষদের সভাপতি ছাড়াও সচিব সুব্রত ঘোষ সহ শিক্ষাদপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। আট জেলা থেকে ২৮৩ জন প্রধান পরীক্ষকের মধ্যে ২৭১ জন হাজির ছিলেন। পর্ষদ সূত্রে খবর, পর্ষদ থেকে সময় মতো পরীক্ষার খাতা নেওয়া, তা সময় মতো জমা দেওয়া সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। - নিজস্ব চিত্র।