কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোররাত সাড়ে ৩টে নাগাদ ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দেশবন্ধুপাড়ার বাসিন্দা তুলসী সরকার তাঁর বাড়ির গেট খোলার শব্দ পান। বিছানা ছেড়ে উঠে পড়েন তিনি। জানালা দিয়ে দেখেন দু’টি দাঁতাল উঠোনের উপর দিয়ে বাড়ির পিছনে কলাবাগানে দিকে গেল। মিনিট পনেরো বাগানে ছিল গজরাজরা। পরে আবার গেট দিয়ে বেরিয়ে যায়। এরপর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফালাকাটা গার্লস হাইস্কুলের সীমানা পাঁচিল ও ফালাকাটা জুনিয়র বেসিক স্কুলের পার্কের খেলনাগুলি ভেঙে দেয়। তারপর ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের মাঝে থাকা সার্ভিস রোডের লোহার রেলিং পা দিয়ে মাড়িয়ে চ্যাপ্টা করে দেয়। এরপর আসে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ সুভাষপল্লি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনের একটি জঙ্গলে ঢুকে পড়ে হাতি দু’টি। এদিকে, ভোরের আলো ফোটার আগেই বিদ্যুতের গতিতে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন কাকভোরে হাতি দেখতি বেরিয়ে পড়ে।
ফালাকাটা থানা ও বনদপ্তর সকলকে নিরাপদ দূরত্বে থাকার জন্য মাইকিং শুরু করে। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ফালাকাটা ২ নম্বর এফ পি স্কুল ছুটি দিয়ে দেয়। ফালাকাটা শহরের অন্যান্য সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এদিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনের নির্দেশে ৮, ৯, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সতর্কতা জারি করা হয়। হাতি দু’টির গতিবিধির উপর নজর রাখতে বন্ধ রাখা হল ফালাকাটা থেকে মাদারি, কুঞ্জনগর ও ফালাকাটা শহরের ব্যাঙ্ক রোড। বুনো দু’টিকে জঙ্গলে ফেরাতে ঘটনাস্থলে আসেন জলপাইগুড়ি বনবিভাগের কর্মীরা। বনদপ্তরের জলদাপাড়ার ডিএফও প্রবীণ কাসোয়ান, এডিএফও রিয়া গঙ্গোপাধ্যায়, ফালাকাটার বিডিও অনীক রায়, জয়গাঁর এসডিপিও প্রশান্ত দেবনাথ দাঁড়িয়ে থেকে গোটা ঘটনার তদারকি করেন। দুপুরে আনা হয় জলদাপাড়ার দক্ষ মাহুত রবি বিশ্বকর্মাকে।
বিকেল সাড়ে ৩টে থেকে হাতি দু’টিকে জঙ্গলে ফেরাতে চলে বাজি-পটকা ফাটানো। পাশাপাশি কুনকি দিয়ে গতিপথ পরিবর্তনের কাজ। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ পরিষেবা। ফালাকাটা থেকে কোচবিহারগামী রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। বিকেল ৪টে ৩৫ মিনিট থেকে ৫টা ১০ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ থাকে রেল পরিষেবাও। পরে হাতি দু’টি রেল লাইন পেরিয়ে কুঞ্জনগর জঙ্গলে গেলে স্বস্তি ফেরে বনকর্মী সহ সাধারণ মানুষের। ডিএফও বলেন, সন্ধ্যায় হাতি দু’টিকে জঙ্গলে ফেরানো সম্ভব হয়েছে।