গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
উত্তর-পূর্ব ভারতের ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখতে আগ্রহ রয়েছে পর্যটকদের। সেই কথা মাথায় রেখে ২০১২ সালে তৎকালীন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মনের উদ্যোগে বনদপ্তর থেকে তৈরি করা হয়েছিল উদ্যানটি। পরবর্তীতে উদ্যানের দেখভালের দায়িত্ব যায় শীতলকুচি পঞ্চায়েত সমিতির কাছে। প্রতিবছর নিলাম করে ইজারাদার কমিটিকে উদ্যান পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। পিকনিকের মরশুমে স্থানীয়রা ছোটখাট দোকান খোলেন। এতে কিছু উপার্জন হয় তাদের।
ইজারাদার কমিটির তরফে হারুন অল রশিদ বলেন, উদ্যানের ভিতরে দোলনা সহ শিশুদের বিভিন্ন খেলার সরঞ্জাম ভেঙে পড়েছে। পিকনিক স্পটে কয়েকটি রান্নাঘরের ছাউনি নেই। পানীয় জলের ব্যবস্থা সহ বেশকিছু দাবি পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসনে জানানো হয়েছিল। সম্প্রতি উদ্যানটিতে বিভিন্ন খেলনা দিয়ে সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে। পিকনিক মরশুমে এ বছরও কয়েক হাজার পর্যটক ঘুরতে আসবেন এমনটাই আশা করা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত রাজ্যকে সুরক্ষিত রাখতে খেন রাজারা প্রায় ৪০ ফুট উঁচু ঢিবি তৈরি করেছিলেন। বর্তমানে ঢিবিগুলি কান্তেশ্বর গড় নামে পরিচিত। মূলত শীতকালে গড় সংলগ্ন পুকুরে বিভিন্ন পরিযায়ী পাখির আনাগোনা বাড়ে। এছাড়াও উদ্যানের নিরিবিলি ও গ্রামীণ প্রাকৃতিক পরিবেশ পর্যটককে আকৃষ্ট করে।
শীতলকুচি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মদন বর্মন বলেন, পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে উদ্যানটি সাজিয়ে তুলতে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। উদ্যানটি আরও সাজিয়ে তুলতে আগামী অর্থবর্ষে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।