গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, গ্রামে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ। সামান্য জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে, ওই ধানে সারা বছরের খাবার হয় না। বাধ্য হয়ে তাঁরা ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজে যাচ্ছেন। যদিও বিজেপির দাবি, তৃণমূলের সময়কালে যত উন্নয়নের গল্পই বলা হোক না কেন, মানুষ দলে দলে ভিনরাজ্যে যেতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ এই রাজ্যে কর্মসংস্থানের অভাব।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছর পুজোর পর শীত পড়তেই মাথাভাঙা মহকুমার শীতলকুচি ও মাথাভাঙা-১ ব্লকের কয়েক হাজার পরিবার ভিনরাজ্যের ইটভাটায় শ্রমিকের কাজে যায়। সিংহভাগ পরিবার শিশুদের সঙ্গে নিয়ে যায়। স্কুলপড়ুয়া কিছু বাচ্চাদের আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে যায় অভিভাবকরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি পরিবারকে ইটভাটায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ঠিকাদার রয়েছে। বছরের শুরু থেকে প্রয়োজন মতো ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা নেয় শ্রমিকরা। পুজোর পর থেকে শ্রমিকরা ইটভাটায় যাওয়া শুরু করেন।
খলিসামারির বাসিন্দা শ্রমিক লক্ষণ দাস, বিমল বর্মন বলেন, এখানে এক-দুই বিঘা জমি চাষ করে সংসার চলে না। এ কারণে সপরিবারে ইটভাটায় যাই। পুজোর পরেই ইটভাটায় গিয়ে থাকার জন্য ঘর করে এসেছি। এখন পরিবার নিয়ে যাচ্ছি। গ্রামে ১০০ দিনের কাজ নেই, গ্রামে কৃষি শ্রমিকের কাজও তেমন মেলে না। ইটভাটা মালিকের কাছ থেকে আগাম নেওয়া টাকা শোধ করতে হবে। সংসারের হাল ফিরবে এই প্রত্যাশা নিয়ে কয়েকবছর ধরে ইটভাটায় যাই।
বিজেপির কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্য কনকচন্দ্র বর্মন বলেন, রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই। মানুষ কাজের সন্ধানে তাই ভিনরাজ্যে যাচ্ছে। তৃণমূল শুধু তাদের নেতা-কর্মীদের উন্নয়ন করেছে, সাধারণ মানুষের কোনও উন্নয়ন হয়নি। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন পাল্টা বলেন, ১০০ দিনের কাজ গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষের আয়ের উৎস ছিল। কেন্দ্রের বঞ্চনায় দিশাহারা সাধারণ মানুষ। মাথাভাঙা-১ ও শীতলকুচি ব্লকের প্রচুর মানুষ ইটভাটায় যাচ্ছে। ১০০ দিনের কাজ চালু হলে ভিনরাজ্যে যাওয়া অনেকটাই কমবে।