গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া এই পঞ্চায়েত এলাকায় শহরের ছোয়া লাগলেও বহু জায়গার রাস্তা ও নিকাশি ব্যবস্থা এখনও বেহাল হয়ে রয়েছে। নিউ পালপাড়ার প্রতিটি নালা জঞ্জালে ভরে রয়েছে। নালার জমা জলে জঞ্জাল পচে চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। সেইসঙ্গে ডেঙ্গু আতঙ্কও গ্রাস করছে বাসিন্দাদের। প্রত্যেক বছর দার্জিলিং জেলায় ডেঙ্গু সংক্রমণের ক্ষেত্রে মাটিগাড়া ব্লক স্বাস্থ্য প্রশাসনের উদ্বেগের বাড়ায়। সেখানে নিউ পালপাড়ায় নিকাশিনালা মশার আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ।
যমুনা পাল নামে এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, বর্ষার জলের স্রোতে নালার আবর্জনা পরিষ্কার হয়ে যায়। তখন কিছুদিন আমরা স্বস্তিতে থাকি। রাস্তায় বৃষ্টির জল জমলেও নালার দুর্গন্ধ থেকে আমরা কিছুদিনের জন্য মুক্তি পাই। মঞ্জু পাল নামে আর এক বাসিন্দা বলেন, পঞ্চায়েত প্রধানকে অনেক বলেছি। তাতেও নালা সাফাই হয় না। নর্দমার মতো রাস্তাও বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। বছরে একবার নালা সাফাই হয়। বছরের বাকি দিনগুলি নালায় জঞ্জাল জমে থাকে।
এক প্রশ্নের উত্তরে যমুনাদেবী বলেন, আমরা কাউকে বলতে গেলেই তারা পাল্টা অভিযোগ করেন, আমরাই নাকি আবর্জনা ফেলে নোংরা করছি। কিন্তু, আমরা আবর্জনা ফেলব কোথায়? বাড়ি বাড়ি জঞ্জাল নেওয়া শুরু হয়নি। নালার জল বের হওয়ার রাস্তা নেই। তাহলে পঞ্চায়েতের থেকে আমাদের বলে দেওয়া হোক আবর্জনা কোথায় ফেলব এই ব্যাপারে মাটিগাড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীপালি ঘোষ বলেন, এটা অনেক বড় এলাকা। পঁচিশটি সংসদ রয়েছে। এক এলাকায় কাজ করে আবার সেই এলাকায় ঘুরে আসতে কিছুদিন সময় লেগে যায়। এই সমস্যা বাড়িয়ে তুলেছেন এলাকার কিছু বাসিন্দা। নালা পরিষ্কার করার পর তারা আবার নোংরা করেন। তবে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই নিউ পালপাড়া ও অন্য বাকি এলাকায় বাড়ি-বাড়ি জঞ্জাল নেওয়া শুরু হবে।
নিউ পালপাড়ার এই সমস্যার জন্য দীপালিদেবী নাম না করে বামেদের দোষারোপ করছেন। তিনি বলেন, আগে দীর্ঘদিন যাঁরা মহকুমা পরিষদে ক্ষমতায় ছিলেন তাঁরা এই এলাকার উন্নয়নে কোনও নজর দেননি। আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে কাজ করছি। আর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতে সীমিত ক্ষমতা ও অর্থ রয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর, মহকুমা পরিষদের মাধ্যমে আমরা একটু একটু করে এই সমস্যার সমাধান করছি। আশা করি আগামীতে নিউ পালপাড়াতে এই সমস্যা আর থাকবে না।