গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
এনিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির জলপাইগুড়ির সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী। তাঁর বক্তব্য, পাতা তোলার সময়সীমা বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে বারবার লিখিত আবেদন জানানো হয়েছিল। তারপরও কিছু হয়নি। কেন্দ্রের এই অবিবেচক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।
ইন্ডিয়ান টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা অমৃতাংশু চক্রবর্তী বলেন, বাগানে যথেষ্টই পাতা রয়েছে। একমাস আগে মরশুম শেষ করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে চা বাগান মালিকদের প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এর জেরে পরবর্তীতে বাগান চালাতেও বেগ পেতে হবে অনেককে। এমনটা মোটেই কাম্য ছিল না।
একমাস আগে চায়ের মরশুম শেষের সিদ্ধান্ত নিয়ে টি বোর্ডের অবশ্য সাফাই, ডিসেম্বরে কাঁচা পাতার মান ভালো থাকে না। ফলে ওই পাতা থেকে উৎপাদিত চায়ের গুণমানও খারাপ হয়। তাছাড়া চাহিদা ও জোগানের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখতেই ৩০ নভেম্বর এবার মরশুম শেষের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টি বোর্ডের সাফাই অবশ্য মানতে নারাজ বাগান মালিকরা। তাঁদের বক্তব্য, বাগানে কাঁচা পাতার মান দেখার জন্য তো টি বোর্ড রয়েছে। অসমের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকেও যোগ করে ৩০ নভেম্বর চা পাতা তোলার শেষ দিন ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু মাথায় রাখা হয়নি, দু’রাজ্যের আবহাওয়া দু’রকম।
চা বাগান মালিকদের দাবি, গতবার ডিসেম্বর মাসে এ রাজ্যে ৪৯ মিলিয়ন কেজি অর্থাৎ ৪ কোটি ৯০ লক্ষ কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল। এবার ডিসেম্বরে পাতা তোলা যাবে না বলে কেন্দ্রের তরফে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ফলে কতটা ক্ষতি হবে বোঝাই যাচ্ছে।
এদিকে, একমাস আগে চায়ের মরশুম শেষ হওয়ায় শ্রমিকদের কাজ হারানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ক্ষুদ্র চা বাগানের মালিকরা বলতে শুরু করেছেন, আবহাওয়া ভালো থাকলে নতুন বছরের মরশুম শুরু হতে মার্চের প্রথম সপ্তাহ। এতদিন যেহেতু পাতা তোলা বন্ধ থাকবে, ফলে এসময় শ্রমিকদের বাগানে কোনও কাজের ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন না তাঁরা। এনিয়ে চা বাগানের শ্রমিক সংগঠনগুলিকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে বাগানে অস্থিরতা তৈরির আশঙ্কাও করছেন অনেকে।