চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ১২ জনুয়ারি দুপুরে ওই ঘটনা ঘটে দার্জিলিংয়ের সদর থানার গুড্ডি রোডে। প্রদীপ ওঝা নামে ওই ব্যবসায়ী তাঁর গুড্ডি রোডের একটি বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়ে বিশ্রাম নিতে গিয়েছিলেন। তখনই সেখানে পাঁচজনের দুষ্কতী দলটি সেখানে ঢুকে ওই ব্যবসায়ীর গলার সোনার চেন ও মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেওয়ার পর সারা ঘরে লুটপাট চালায়। এরপরই পালিয়ে যাওয়ার আগে অপরাধীরা ব্যবসায়ীর হাত‑পা বেঁধে মুখে সেলোটেপ আটকে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর তারা চম্পট দেয়। এদিকে, পরিবার‑পরিজন নিয়ে যে বাড়িতে ওই ব্যবসায়ী বসবাস করতেন , সেখানে তিনি দীর্ঘসময়ের পরেও ফিরে না আসায় তাঁকে ফোন করা হয়। তাঁর ফোন বন্ধ থাকে। পরে দ্বিতীয় বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের লোকজন দেখেন বাড়ির দরজা হাট করে খোলা। ঘরে মৃত অবস্থায় হাত‑পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে তাঁর দেহ। পুলিসে খবর পাঠানো হয়। পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে তা ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। রুজু করা হয় খুনের মামলা। পুলিস তদন্ত চালিয়ে জানতে পারে, মহারাষ্ট্রের একটি চক্র ওই খুনের ঘটনায় জড়িত। পরে তাদেরকে একে একে গ্রেপ্তার করা হয়। হাতের ছাপ সহ বিভিন্ন পরীক্ষার নমুনার সঙ্গে দুষ্কতীদের হাতের ছাপও মিলে যায়। উদ্ধার হয় সোনার চেনটি। আর হাওড়ার একটি দোকান থেকে মেলে ব্যবসায়ীর দামী ফোনটি।
তদন্ত শেষ করে পুলিস ধৃতদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করেন তদন্তকারী অফিসার শশিদর্জি ভুটিয়া। পরে চার্জ গঠনের পর শুরু হয় মূল মামলার বিচার। আদালতে সাক্ষ্য দেন মোট ২৪জন। জামিন বাতিল হয়ে যাওয়ায় জেল হেফাজতে রেখেই চলে ধৃতদের বিচার। সরকারি কৌঁসুলি প্রণয় রাই জানান, বৃহস্পতিবার জেলা জজ জীমূতবাহন বিশ্বাস ওই পাঁচজনকে ডাকাতি ও হতার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেন। তিনি জানান, এই থানা এলাকায় এই ধরনের ঘটনার নজির নেই।