চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
২০১২ সালের ২৬ জুন গভীর রাতে শিলিগুড়ি শহরের কুমোরটুলিতে খুন হন গায়েত্রী নায়েক। তাঁর দেহের একাধিক জায়গায় ছিল কোপানোর চিহ্ন। সেই ঘটনার তিনদিন পর মৃতার স্বামী নবীনকে গ্রেপ্তার করে শিলিগুড়ি থানার পুলিস। স্ত্রীকে নিয়ে কুমোরটুলিতে ভাড়া ছিলেন তিনি। ঘটনার রাতে নবীনের ঘর থেকে তাঁর স্ত্রীর চিৎকার শোনেন বাড়ির মালিক ও প্রতিবেশীরা। তাঁরা ঘটনাস্থলে যেতেই ঘরের আলো বন্ধ করে দরজা খুলে চম্পট দেন নবীন। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে খুনের মামলা রুজু করে। ঘটনার তিনদিন পর ২৯ জুন শহরের এনটিএস মোড় থেকে অভিযুক্তকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। ধারালো অস্ত্রও উদ্ধার হয়। ঘটনার ৮৬ দিনের মাথায় পুলিস মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করে। এরপর সাক্ষ্যগ্রহণ ও চার্জ ফ্রেম হয়। ১২ নভেম্বর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এদিন মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হয়।
মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী সমীরণ সূত্রধর বলেন, বাড়ির মালিক, মৃত বধূর প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া, পুলিস সহ ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষীদের বয়ান, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সহ মামলার সমস্ত নথি পর্যবেক্ষণের পর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। এদিন আদালত দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে।