চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লাইব্রেরিতে কোনও স্থায়ী গ্রন্থাগারিক নেই। একজন চতুর্থ শ্রেণির করণিক দিয়েই গ্রন্থাগারটি চলত। ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল তিনিও অবসর নেন। তারপর থেকেই গ্রন্থাগারটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। অবসরপ্রাপ্ত করণিক সুভাষচন্দ্র রায় বলেন, গ্রন্থাগারটির দিকে তাকালে খুবই খারাপ লাগে। ভিতরে প্রায় পাঁচ হাজার বই রয়েছে। সেগুলি এখন কী অবস্থায় আছে, জানা নেই।
এ প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক শিবনাথ দে বলেন, কর্মীর অভাবে জেলার বহু গ্রন্থাগারই ধুঁকছে। রাজ্য সরকার শূন্যপদে নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে। সেই নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই লাইব্রেরিগুলি ফের সচল হবে।
শুধু রানিরহাটের উদয়ন পাঠাগারই নয়, জামালদহের অরবিন্দ পাঠাগারও একইভাবে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে। জেলায় বন্ধ থাকা লাইব্রেরির সংখ্যা এই মুহূর্তে ৩৪টি। বিভিন্ন গ্রন্থাগারে অবহেলায়, অযত্নে বহু মূল্যবান বই নষ্টের মুখে। ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত রানিরহাটের উদয়ন পাঠাগারের নতুন ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয় ২০১৮ সালে। মোট ৩৩ লক্ষ টাকা ব্যয় করে রাজ্য সরকারের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাকার পরিষেবা বিভাগের তরফে নতুন ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ওই বছরেরই ৭ মার্চ গ্রন্থাগারের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন মেখলিগঞ্জের তৎকালীন বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধান। মার্চ মাসে উদ্বোধনের পর ওই বছরের এপ্রিলেই লাইব্রেরিটির একমাত্র কর্মী অবসর নেন। এরপর থেকেই অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়ে গ্রন্থাগারটি। আজ পর্যন্ত কর্মী নিয়োগ না হওয়ায় সেটি বন্ধই রয়েছে। এলাকার বইপ্রেমী হামিদুল ইসলাম, ধীরাজ রায়, মহাদেব প্রামাণিক বলেন, বহু দুষ্প্রাপ্য বই, পত্রপত্রিকা, পাণ্ডুলিপি, দুর্মূল্য সংগ্রহ ক্ষতির সম্মুখীন। অবিলম্বে কর্মী নিয়োগ করে লাইব্রেরিটি খোলা উচিত। নিজস্ব চিত্র।