চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ শিলিগুড়ি থেকে একটি বাইকে দুই ভাই ফিরছিলেন। ওই সময় বাগডোগরা বনাঞ্চল থেকে দলছুট একটি হাতি রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে। অন্ধকার রাস্তায় আচমকাই হাতি দেখে তাঁরা বাইকটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। হাতির মুখোমুখি হন। ঘটনাস্থলে অজয় ওরাওঁয়ের (৪৪) মৃত্যু হয়। ভাই সঞ্জয় ওরাওঁ (৪১) গুরুতর জখম হন। খবর পেয়ে বাগডোগরা থানার পুলিস পৌঁছে জখমকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে সঞ্জয় ওরাওঁয়ের মৃত্যু হয়।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছ’বছর ধরে অজয় শিলিগুড়ির একটি শপিংমলে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। বছর দু’য়েক আগে ওই মলে ভাই সঞ্জয় কাজে যোগ দেন। সঞ্জয়ের তিন মেয়ে। স্বামীর মৃত্যুতে সঞ্জয়ের স্ত্রী সীমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। সন্ন্যাসী চা বাগানের অস্থায়ী শ্রমিক সীমা বলেন, সঞ্জয় চেয়েছিল মেয়েরা পড়াশোনা করুক। কিন্তু এখন কী করে সংসার চালাব ভাবতেই পারছি না। অজয়ের স্ত্রী বিবিয়ান ওরাওঁ কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে ছিলেন না। মেয়ের বিয়ে হলেও ছেলের হাতে কোনও কাজ নেই। ছেলে সুদীপ বলেন, বাবা সংসার চালাতেন। আমি কাজের খোঁজ করছি। কিন্তু কোনও কাজ এখনও পাইনি।
গ্রামের দু’জনের মৃত্যুতে প্রতিবেশীরা ওরাওঁ বাড়িতে বৃহস্পতিবার ভিড় করেন। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষও চলে আসেন। দুই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। আর্থিক সাহায্যও করেন।
কার্শিয়াংয়ের ডিএফও দেবেশ পান্ডে বলেন, জঙ্গল থেকে হাতি রাস্তায় চলে এসেছিল। বাইক চালক নিয়ন্ত্রণ হারানোয় এই দুর্ঘটনা। হাতি পিষে মেরেছে কি না, যাচাই করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিক অনুমান, হাতির জন্যই দুর্ঘটনাটি। মৃতদের পরিবারকে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
শোকগ্রস্থ সঞ্জয়ের পরিবার। - নিজস্ব চিত্র।