চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার কথা হচ্ছিল আনিসার সঙ্গে। চোখে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে সে বলে, আমি স্কুলের হস্টেলে থেকেই কবাডির প্রশিক্ষণ নিতাম। এই খেলাটাই ভালো লাগত। এবার রাজ্যের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছি। খুবই ভালো লাগছে। আগামীতে আরও বড় জায়গায় যাওয়ার স্বপ্ন রয়েছে। আনিসার বাবা অমল তপ্ন কৃষক। বাড়ি কুমারগঞ্জ ব্লকের দিওর গ্রামে। ছাত্রীটি পড়াশোনার জন্য পঞ্চম শ্রেণি থেকে বালুরঘাটের নদীপার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের হস্টেলে থাকে। আদিবাসী পরিবারের ওই ছাত্রী পঞ্চম শ্রেণি থেকে স্কুলের শিক্ষিকাদের কাছে কবাডি খেলার প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। গতবছরও সে জেলাস্তরে খেলে। কিন্তু রাজ্যের টিমে সুযোগ পায়নি। এবার অক্টোবর মাসে ডায়মন্ড হারবারে ইন্টার ডিস্ট্রিক্ট কবাডিতে অংশ নেয়। সেখানে ভালো পারফরমেন্স করে রাজ্য দলে সুযোগ করে নিয়েছে আনিসা। বিষয়টি জানাজানি হতেই খুশির হাওয়া স্কুলে। বুধবার ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল ফর স্কুল গেমস অ্যান্ড স্পোর্টসের তরফে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কুহেলি মণ্ডল ঘোষ বলেন, আনিসার এই সাফল্যে আমরা গর্বিত। স্কুলের তরফে তাকে সবরকম সাহায্য করা হবে। ছাত্রীর প্রশিক্ষক তথা স্কুলের শিক্ষিকা তপতী দাস বলেন, আনিসার সাফল্যে আমাকেও সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কাছে গর্বের ব্যাপার। গতবছর আনিসাকে অনেক বকাঝকা করতে হয়েছে। তবে সেটা আর করতে হয়নি। এদিকে স্কুলের অনুর্ধ্ব-১৭ তেও স্কুলেরই আর একজন ছাত্রী সঙ্গীতা সিং প্রথম রাউন্ডে চান্স পেলেও ফাইনাল সিলেকশনে বাদ পড়ে যায়। আনিসা তপ্নকে সংবর্ধনা দিচ্ছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও সহ শিক্ষিকা।-নিজস্ব চিত্র