চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার বিজেপির আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা বিটিডব্লুইউ’র চেয়ারম্যান মনোজ টিগ্গা বলেন, উপ নির্বাচনের ফল বেরলেই আমরা চা বাগানের সংগঠনের দিকে নজর দেব। ঢেলে সাজানো হবে। সংগঠনকে আরও চাঙ্গা করতে হবে। চা বাগানের পাশাপাশি মাদারিহাটে বুথস্তরের সংগঠনও যে মোটেই মজবুত নয়, সেটাও উপ নির্বাচনে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে গেরুয়া শিবির। এনিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, আমাদের ভোটার রয়েছেন। কিন্তু সংগঠনে অনেক জায়গায় দুর্বলতা রয়েছে। স্থানীয় নেতৃত্বের অভাবে অনেকে সাময়িকভাবে সরে গিয়েছেন। তাঁরা বিজেপিকে ভোট দিলেও সংগঠনে সক্রিয় নন। ফলে এবার সংগঠনে নজর দেওয়া হবে।
মাদারিহাটে নিজেদের জেতা আসনে ভোট করাতে গিয়ে যেভাবে বেগ পেতে হয়েছে বিজেপিকে, ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোটে লড়াইটা যে মোটেই সহজ হবে না, তা মানছে গেরুয়া শিবির। দলের জেলা সভাপতি তথা সাংসদ মনোজ টিগ্গা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, চা বলয়ে সংগঠন আর কৃষিবলয়, শহরাঞ্চলে ইস্যু ভিত্তিক আন্দোলন, এটাই এখন আমাদের মূল টার্গেট। আমাদের হাতে ইস্যু অনেক আছে। কিন্তু সেই ইস্যু নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে। তিনি বলেন, কর্মীদের মাঠে নামাতে হবে। আন্দোলনে থাকতে হবে। না হলে মুশকিল। উপ নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরই আমরা এ ব্যাপারে রূপরেখা তৈরি করব।
মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রে ২৪টি চা বাগান। এরমধ্যে মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকে ১৯টি, বাকিগুলি বানারহাট ব্লকে। বর্তমানে চারটি বাগান বন্ধ। এই ২৪টি চা বাগানে বুথ রয়েছে ৭৮টি। একসময় মাদারিহাটের চা বলয়ে আরএসপির চা শ্রমিক সংগঠন সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল। এখন অবশ্য তাদের নামগন্ধ নেই। গত কয়েকবছরে তৃণমূলের সংগঠন অনেকটাই শক্তিশালী হয়েছে। এবারের লোকসভা ভোটে দেখা গিয়েছিল, মাদারিহাটে ৭৮টি বুথের মধ্যে ৩৮টিতে এগিয়ে তৃণমূল। বিধানসভা উপ নির্বাচনে চা বলয়ে তাদের এগিয়ে থাকা বুথের সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে বলে দাবি জোড়াফুলের প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পোর।
ফলপ্রকাশের আগে চা বলয়ের ভোট নিয়ে কোনও সমীকরণে না গেলেও আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ বলেন, আমার লোকসভা এলাকায় ১১৬টি চা বাগান রয়েছে। সমস্ত বাগানেই সংগঠন ঢেলে সাজানো হবে। আমরা শীঘ্রই এ ব্যাপারে কাজ শুরু করব। বুথে তিন বছর অন্তর রদবদল হয় আমাদের। কিন্তু ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে যেখানে যা করতে হয়, করা হবে।