চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
মুলত পরিবহণ দপ্তরের নিয়মিত নজরদারির অভাবকেই দায়ী করছেন একাংশ। ভিনরাজ্য থেকে আন্ডারলোড লরি এসে জাতীয় সড়কে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছে। সেখানে প্রকাশ্যে এই ওভারলোডিং চলছে। এতে একদিকে যেমন জাতীয় সড়কের ক্ষতি হচ্ছে, প্রচুর রাজস্ব হারাচ্ছে প্রশাসন।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিক অনুপম চক্রবর্তী বলেন, ওভার লোডিং কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না। কারা এই চক্র চালাচ্ছে খোঁজ করব।
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আগে দিনে ২৮০টির বেশি পণ্যবাহী লরি বাংলাদেশে যেত। বাংলাদেশে সম্প্রতি অস্থিরতার জেরে সেটাই কমে হয়েছিল ৩০। চাল, আলু, পেঁয়াজের রপ্তানি বৃদ্ধি হতেই এখন ১০০-১২০টি লরি যাতায়াত করছে। জেলার বাইরে থেকে বড় লরিতে পণ্য ঢোকার পর বেশকিছু গোডাউনে বাড়তি সামগ্রী বোঝাই করার অভিযোগ উঠছে কিছুদিন ধরে। এই ওভার লোডিংয়ের জন্য টাকা দিতে হচ্ছে দালালদের। ওভারলোড করলে ব্যবসায়ীরা মোটা টাকা মুনাফা করতে পারেন। সেই জন্যই এই চক্র দিনদিন জাল বিছিয়ে চলেছে। ২৫ টন পণ্য নিয়ে যাওয়ার নিয়ম থাকলেও কিছুক্ষেত্রে তা ৪০ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ত্রিমোহিনী থেকে হিলি ঢোকার আগে রাস্তার ধারে জাতীয় সড়ক দখল করে প্রকাশ্যে লরিতে বাড়তি পণ্য তোলা হচ্ছে। বাড়তি বোঝা নিয়ে রাস্তায় লরি যাতায়াত করার ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও।
হিলি এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি রাজেশ আগরওয়ালের কথায়, ভিনরাজ্যের লরি বাংলাদেশে যেতে চায় না। তাদের ট্রাক থেকে পণ্য অন্য গাড়িতে বোঝাই করে রপ্তানি করা হয়। এর সঙ্গে ওভার লোডিংয়ের কোনও সম্পর্ক নেই।
(জাতীয় সড়কে ওভারলোড করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে লরি। -নিজস্ব চিত্র)