ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
এতদিন ওপেন বিল স্টর্ক, নাইট হেরন, লিটল কর্মর্যান্ট, ইগ্রেটস প্রজাতির পরিযায়ী পাখির দেখা মিলত। যার টানে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং কলকাতা থেকেও পর্যটকরা আসতেন কুলিকে। সপ্তাহ দুয়েক আগে পক্ষীনিবাসে গণনাপর্ব শেষ হলে প্রথমবার দেখা মেলে গ্লসি আইবিসের। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই পক্ষীপ্রেমীদের কাছে ফেস্টিভ ডেস্টিনেশন এখন রায়গঞ্জ শহর লাগোয়া কুলিক।
পর্যটন দপ্তরের গেস্ট হাউসের ম্যানেজার উদয় পাঠক বলেন, রকমারি পাখির টানে এবার পুজোয় পর্যটকদের বুকিং বেড়েছে। আকর্ষণীয় বিষয় হল গেস্ট হাউসের ওয়াচ টাওয়ার থেকে পাখি দর্শন করা যায়। একপাশে কুলিক নদী, একদিকে পক্ষীনিবাস, চারদিকে সবুজ গাছপালা ও জলাশয়ের মোহে বুকিং ফুল হয়ে গিয়েছে ২০ তারিখ পর্যন্ত। পর্যটকদের মন জয় করতে লোভনীয় রকমারি পদের আয়োজন রেখেছি।
গত পাঁচ বছরে কুলিক পক্ষীনিবাসে গতবার প্রথম পাখির সংখ্যা কমে যায়। পাখির সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার ১৪১। তবে এবার সেই সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে বনদপ্তর থেকে শুরু করে রায়গঞ্জের পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলি। যার অন্যতম কারণ নতুন প্রজাতির পাখির আগমণ। এছাড়া পক্ষীনিবাসের বাইরে দেবীনগর, শহরে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অফিসের আশপাশের গাছ, দেহশ্রী মোড়, এলআইসি মোড় সহ বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কিছু গাছে বাসা করে থাকছে পরিযায়ীর দল।
রায়গঞ্জের ডিএফও ভূপেন বিশ্বকর্মা বলেন, গত কয়েক মাস পক্ষীনিবাসে প্রতি মাসে গড়ে ৩ হাজার পর্যটক আসছেন। পুজোয় সেই সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়বে বলে আশা করছি।
যদিও পর্যটকদের নিয়ে একটু ভিন্ন সুর উত্তর দিনাজপুর পিপলস ফর অ্যানিম্যালসের কর্ণধার গৌতম তান্তিয়ার। তাঁর মন্তব্য, ভিনরাজ্য, পার্শ্ববর্তী জেলা, কলকাতা থেকে টুরিস্ট এলেও বিদেশিদের আগমণ হলে ভালো হয়। তার জন্য বনদপ্তরের আরও উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
নিজস্ব চিত্র।