ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
মানিকচকের ভূতনির তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা গত দু’মাস ধরে জলমগ্ন। গ্রামের রাস্তাঘাট থেকে শুরু বাড়িঘর-জলের তলায়। এমনকী তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৫২টি স্কুল জলমগ্ন।
বাধ্য হয়ে বাড়ি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন ভূতনির বানভাসিরা। মানিকচকের মথুরাপুরে মোট চারটি ত্রাণ শিবির করা হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এই ত্রাণ শিবিরে হাজারেরও বেশি পরিবার বসবাস করছিলেন। বর্তমানে ভূতনির বন্যা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। জল নেমেছে এলাকা থেকেও। ত্রাণ শিবির থেকে বাড়ি ফিরেছেন অনেকেই। তবে মথুরাপুরের বিএসএস হাইস্কুলের শিবিরে এখনও দুই শতাধিক পরিবার রয়েছে। বড়দের সঙ্গে ছোটরাও রয়েছে দু’মাস ধরে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকা জলমগ্ন থাকায় বন্ধ শিশুদের পড়াশোনা। যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন শিশুদের পরিবারের সদস্যরা। জেলা ও ব্লক প্রশাসনের কাছে পড়াশোনার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন অভিভাবকেরা। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছেন মানিকচক চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক মহম্মদ পারভেজ। তিনি বলেন, বানভাসি পরিবারগুলির শিশুদের পড়াশোনায় যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য ব্লক ও জেলা প্রশাসনের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষকদের ত্রাণ শিবিরের পাঠদান প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী বুধবার পর্যন্ত পড়াশোনা করানো হবে ত্রাণ শিবিরের শিশুদের। আমরা আশা করছি, পুজোর পর ভূতনির অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। নাহলে পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষকদের এই পদক্ষেপে খুশি খুদেদের অভিভাবকরা। দক্ষিণ চণ্ডীপুরের বধূ আলিনা খাতুন বলেন, গিরিটোলা এখনও জলমগ্ন। গত সাতদিন ধরে এই শিবিরে আছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত ব্যবস্থা খুবই ভালো রয়েছে। আমরা শিশুদের পড়াশোনা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। তবে এখানে প্রতিদিন পড়াশোনা করানো হচ্ছে।
নিজস্ব চিত্র।