ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
এবার সিদ্ধার্থ দেড় ফুট উচ্চতার দুর্গা প্রতিমা গড়েছে। একচালা সাবেকি প্রতিমা। যেখানে মা দুর্গার বাঁ কোলে বসে রয়েছেন সিদ্ধিদাতা গণেশ। বাঁ দিকে বীণা হাতে বিদ্যার দেবী সরস্বতী। মা দুর্গার পায়ের কাছে করজোড়ে বসে আছেন মহিষাসুর। মায়ের সামনে ডান দিক ঘেঁসে ময়ূরের উপর বসে আছেন কার্তিক এবং একেবারে ডান দিকে বসে রয়েছেন মা লক্ষ্মী। সিদ্ধার্থ জানায়, এই প্রতিমা গড়তে ১২ দিন সময় লেগেছে।
সিদ্ধার্থর বাবা ধরমনাথ সিং মালদহের জেলাশাসকের কার্যালয়ের চাকরি করেন। হঠাৎ কেন ছেলে মা দুর্গার প্রতিমা বানাতে শুরু করল? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কারণটা সঠিক আমরাও জানি না। হঠাৎ করেই একদিন দেখি মাটি খড় বাঁশ কাঠ জোগার করে দুর্গা প্রতিমা বানাতে শুরু করেছে। আমাদের বাড়ির কাছেই এক জায়গায়া প্রতিমা তৈরি হয়। হয়ত সেটা দেখেই ওর মূর্তি গড়ার ইচ্ছে হয়েছে। পরে জানতে পেরেছি মৃৎশিল্পীদের কাছ থেকে ছেলে প্রতিমা তৈরির সামগ্রী জোগাড় করে এনেছে।
সিদ্ধার্থ মা বাবা সহ পরিবারের সঙ্গে ইংলিশবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বালুচর এলাকায় বসবাস করে। তাদের বাড়ির কাছেই একটি পুজো হয়। সিদ্ধার্থর বাবা ধরমনাথবাবু বলেন, প্রতি বছর পঞ্চমীর আগেই ছেলের প্রতিমা গড়ার কাজ শেষ হয়ে যায়। পঞ্চমীর দিন সেই প্রতিমা পাড়ার পুজো প্যান্ডেলে নিয়ে যাওয়া হয়। ষষ্ঠীতে এই মূর্তিতেই প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে মায়ের বোধন হয়। নিজস্ব চিত্র।