সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
সূত্রের খবর, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে ১২০ কোটির দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে স্বপন সাহার। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে মালবাজারে রয়েছে রাজ্য সরকারের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের ১৩ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের দল। দল থেকে সাসপেন্ড হওয়া নিয়ে স্বপনবাবু অবশ্য বলেন, বিজেপির একজন আইনজীবী ও তৃণমূলের দু’জন কাউন্সিলার এই ষড়যন্ত্রের পিছনে রয়েছেন। ৪০ বছর ধরে যে দল করছি, তার থেকে যদি সরে যেতে হয়, সেটা দুঃখের বিষয়। দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, বিষয়টি বিচারাধীন। যাঁরা বলছেন, ১২০ কোটির দুর্নীতি, তাঁদের প্রমাণ করতে হবে। আমার দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। কোনটিতে কত টাকা ঢুকেছে, তার প্রমাণ দিতে হবে।
তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির নির্দেশে মাল পুরসভার চেয়ারম্যানকে দল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি দলের কোনও কর্মসূচিতে থাকতে পারবেন না। মহুয়ার দাবি, মাল পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কিছু আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। রাজ্য নেতৃত্ব বিষয়টি জানে। আমাদের কাছেও জানতে চাওয়া হয়েছিল। জেলায় যেসব অভিযোগ জমা পড়েছে, তা জানানো হয়েছে দলকে।
দীর্ঘদিন ধরে মাল পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা। তাঁর আমলে আবাস যোজনা থেকে পথবাতি, পানীয় জল, রাস্তাঘাট সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মাল পুরসভায় কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। কাজের পরও মেটানো হয়নি ঠিকাদারের বকেয়া। যা নিয়ে এর আগে মাল পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রুল জারি করে আদালত। মামলা চলাকালীন একাধিকবার আদালতের ভর্ৎসনাও শুনতে হয়েছে চেয়ারম্যানকে।
এদিন সকালে স্বপন সাহা আচমকা জানতে পারেন, তাঁর দেহরক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই দল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার বিষয়টিও জানতে পারেন তিনি। সূত্রের খবর, এরপরই তড়িঘড়ি পুরসভায় যান। কয়েকজন অনুগামীর সঙ্গে শলাপরামর্শ করেন। সোমবারই দুর্নীতির তদন্তে মালবাজারে এসে পৌঁছয় পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের দল। টিমের সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় পুরসভার কাজকর্ম ঘুরে দেখার পাশাপাশি ছবি তোলেন। কথা বলেন লোকজনের সঙ্গে। মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ ফের মাল পুরসভায় আসে দলটি। যদিও তাঁরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।