সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্তপল্লিতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন কাউন্সিলার দুলাল দত্ত। পরে শিলিগুড়ি থানার পুলিস এসে অষ্টমীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। বাড়ির মালিক রতন সাহা বলেন, আট মাস আগে ওই দম্পতি ভাড়া আসে। মহিলার স্বামী নয়ন গোস্বামী পেশায় গাড়ির ড্রাইভার। প্রসবের পর থেকেই বধূ সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছিল। তাই নয়ন তাঁর মাকে সন্তান দেখভালের জন্য নিয়ে এসেছিলেন। শিশুকে ওর মা’র থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতেন পরিবারের সদস্যরা।
নয়ন বলেন, অষ্টমী যাতে কোনওভাবেই সন্তানের ক্ষতি করতে না পারে তারজন্য আমি এবং মা সবসময় ওর খেয়াল রাখতাম। কেন যেন মনে হতো মেয়েকে কুয়োয় ফেলে দেবে স্ত্রী। তাই কয়েকদিন আগে কুয়োটি প্লাস্টিক দিয়ে শক্ত করে ঢেকে দিই। কিন্তু, সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। একজন মা কীভাবে সন্তানকে খুন করতে পারে, ভাবতেই পারছি না।
নয়নের পিসতুতো দিদি লক্ষ্মী চক্রবর্তী বলেন, আমি পাশের বাড়িতে থাকি। ১০টা নাগাদ হঠাৎ চিৎকার শুনতে পাই। এসে শুনি ভাইঝি দোলনায় নেই। অষ্টমী মোবাইলে গান শুনছিল। ওকে চেপে ধরতেই কুয়োর দিকে ইশারা করে। কুয়োয় উঁকি দিয়ে দেখি কাপড়ে মোড়া অবস্থায় কিছু ভাসছে। ভালো করে লক্ষ্য করতেই কান্নার শব্দ পাই। দমকল কর্মীরা এসে কুয়ো থেকে ভাইঝির নিথর দেহ উদ্ধার করেন। কাউন্সিলার দুলাল দত্ত বলেন, ওই মহিলা মানসিকভাবে সুস্থ নন বলে মনে হচ্ছে। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে।