সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
ইসলামপুর ব্লকে উপভোক্তাদের ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রধানের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার তিনি টাকা ফেরত দেওয়ায় অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হল বলে এদিন দাবি করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
দলের ব্লক কমিটির সহ সভাপতি তথা সুজালি অঞ্চল কোর কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান কামালউদ্দিনের কথায়, আজ প্রমাণ হল প্রধান অনিয়ম করেছেন। তালিকায় ২২২ জনের নাম ছিল। তার মধ্যে প্রায় ১৭০ জনকে এদিন টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। বাকিদের পরে দেওয়া হবে। প্রধানের স্বামী দলের নেতৃত্বে থাকার সময় অনেক অনিয়ম হয়েছে।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে নুরি প্রধান পদে আছেন। তাঁর স্বামী আবদুল হক তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি পদে ছিলেন। একাধিক অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠলে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর পুলিস আবদুলকে গ্রেপ্তার করার জন্য বাড়িতে হানা দিয়েছিল। তখন থেকেই তিনি পলাতক।
নতুন অঞ্চল কমিটি আবদুলের অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় প্রধানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো নয়। সেকারণে এক বছরের বেশি সময় নুরি পঞ্চায়েত অফিসে যাননি। তবে এদিন টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তিনি উপস্থিত ছিলেন। টাকা বিলির পর পুলিসের গাড়িতে ওঠার সময় নুরিকে ঘিরে বহু মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের অনেকেই টাকা ফেরত পাননি বলে অভিযোগ।
এপ্রসঙ্গে নুরি বলেন, যারা আগে দলের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরাই টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা আজ ফেরত দেওয়া হয়েছে। আমি প্রধান বলে চোপড়ার বিধায়ক ও পুলিসের নির্দেশে উপস্থিত ছিলাম। ২০০ জনকে ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। নিজের টাকা থেকেই কি ফেরত দিলেন? প্রধানের মন্তব্য, আমি কোনও টাকা দিইনি। টাকা কোথা থেকে এসেছে জানি না। পুলিস প্রশাসন বলতে পারবে। বিধায়ক হামিদুল রহমান বলেছেন, অভিযোগ হয়েছিল। বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলেছিলাম।