সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
এদিনের ঘটনার পর ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জাতীয় সড়কের বেহাল অবস্থার জন্য এলাকায় একাধিকবার টোটো উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। এদিন সড়ক সংস্কারের দাবিতে পথচলতিরা প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করেন। পরে পুলিসের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন তাঁরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, চাঁচল থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর যাওয়ার সময় মাদ্রাসা মোড়ে টোটোর চাকা গর্তে পড়ে উল্টে গেলে এক গর্ভবতী সহ চারজন জখম হন। তাঁদের হাত, মাথা ফেটে গিয়েছে।
মূলত, খানাখন্দ ভরা রাস্তায় জল জমে যাওয়ার জন্যই বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। গর্ত কতটা গভীর বুঝতে না পেরে বিপদে পড়ছেন যানচালকরা। গত সপ্তাহে একটি টোটো উল্টে দুজন মহিলা ভিক্ষুক জখম হলে চাঁচল সুপার স্পেশালিটিতে ভর্তি করা হয় বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, মহকুমা শাসকদের দপ্তর থেকে সড়কের প্রায় এক কিমি জুড়ে বিভিন্ন অংশে ছোট, বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সোমবার রাতের বৃষ্টিতে কয়েকটি জায়গায় জল থইথই অবস্থা। সংস্কার শুরু হলেও ঠিকাদার কাজ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে দাবি বাসিন্দাদের। স্থানীয় মঞ্জুর আলম বলেন, সড়কপথে বিপজ্জনক গর্ত তৈরি হয়েছে বলে বারবার দুর্ঘটনা। সম্পূর্ণ সংস্কার না করা হলেও চলাচলের যোগ্য করতে দ্রুত গর্ত ভরাট করা হোক।
আরেক বাসিন্দা মিনাজুদ্দিন আহমেদের অভিযোগ, পরপর দুর্ঘটনা ঘটলেও হেলদোল নেই প্রশাসনের। কারও প্রাণহানি হলে দায় কে নেবে? অবিলম্বে সড়ক সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
চাঁচল মহকুমা শাসক শৌভিক মুখোপাধ্যায় বলেন, সড়ক কর্তৃপক্ষকে দ্রুত রাস্তা সংস্কার করার কথা বলা হয়েছে।
মালদহ ডিভিশনের জাতীয় সড়কের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার দিগন্ত কুণ্ডু বলেন, ঠিকাদার অসুস্থ থাকায় কাজ থমকে ছিল। ফের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত সমস্যা মিটবে।