সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
ডেঙ্গুর কারণে গতবারও চিকিৎসকদের পুজোর ছুটি বাতিল করা হয়েছিল। ষষ্ঠী থেকে দশমী, এই পাঁচদিনে গতবছর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মোট ৮৪ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। ষষ্ঠীতে সবথেকে বেশি ২১ জন মারা গিয়েছিলেন। পুজের দিনগুলিতে রোগীমৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটি বড় অংশের পুজোর ছুটিতে যাওয়ার দিকটি সামনে এসেছিল। অভিযোগ ওঠে, চিকিৎসায় গাফিলতির। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সিনিয়র ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় অনেক রোগীর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি। জুনিয়র ডাক্তাররাই পুজোর দিনগুলি হাসপাতাল সামলেছেন। এ কারণেই গতবার পুজোয় রোগী মৃত্যু বেড়েছিল। শোরগোল পড়েছিল ডাক্তারদের পুজোয় ছুটি নেওয়া নিয়ে।
এবারও কি একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে? পুজোর ছুটি বাতিল হলেও হাসপাতালে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, কোন কোন ডাক্তার পুজোয় থাকবেন না। যাঁরা ছুটিতে যাবেন কাগজে-কলমে তাঁদের নামে কারা ওই দিনগুলি ডিউটি করবেন। অভিযোগ, ডাক্তারদের একটি বড় অংশ নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে ছুটিতে চলে যান। কাগজে-কলমে তাঁরা অন ডিউটি থাকেন। জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে কিছু সিনিয়র ডাক্তার পুজোর দিনগুলিতে হাসপাতাল সামলান। বাস্তবে জুনিয়র ডাক্তাররাই সামলান। আধিকারবকরাও এভাবে ছুটি নেন।
আর জি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে উদ্ভুদ পরিস্থিতিতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করেছেন জুনিয়র ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি বড় অংশ। তাঁদের ধারণা, এবারও গতবারের মতো মূলত জুনিয়র ডাক্তারদের ভরসায় হাসপাতাল ফেলে পুজোয় বাইরে যাবেন সিনির ডাক্তারদের একটা বড় অংশ।
হাসপাতাল সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, এবারও সরকারিভাবে পুজোর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সব বিভাগীয় প্রধানদের কাছ থেকেই ডিউটি রোস্টার চাওয়া হয়েছে। পুজোর ছুটির দিনগুলিতে কে, কবে, কোন ডিউটিতে থাকবেন তা জানাবেন বিভাগীয় প্রধানরা। সেই রোস্টার মতো তাঁদেরকে থাকতে হবে। যদি রোস্টারে নাম থাকা সত্ত্বেও সেই চিকিৎসক না থাকেন, সেক্ষেত্রে যদি কোনও সমস্যা বা জটিলতা তৈরি হয় তাহলে রোস্টারে নাম থাকা ডাক্তারকেই তার দায় নিতে হবে।