সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
সোমবার নির্ধারিত বোনাসের দাবিতে একবেলা কাজ করে বাগানের ফ্যাক্টরি গেটে বিক্ষোভে দেখান ও হুঁশিয়ারি দেন শ্রমিকরা। এদিন সেই হুঁশিয়ারি মতই জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। ২০ শতাংশ বোনাসের দাবি না মিটলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা। যদিও পাঁচটা নাগাদ শ্রমিকরা নিজেরাই অবরোধ তুলে নেন। বুধবার ফের তাঁরা অবরোধে শামিল হবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
এদিন চা বাগানের শ্রমিক সীতা বাগ বলেন, গতবার ১৯ শতাংশ বোনাস পেলাম। এবার চা বাগানে উৎপাদন ভালো। তবু কেনও বোনাস কমে গেল? আমরা এই বোনাস মানছি না। আমাদের দাবি, এই বছর ২০ শতাংশ বোনাস দিতে হবে। একইভাবে আরএক শ্রমিক সমীর ওরাওঁ বলেন, চা বাগানের সংগঠনের নেতারা শ্রমিকদের কথা না ভেবে মালিকদের কথায় গতবারের থেকে কম বোনাসে চুক্তি করে এসেছেন। এই চুক্তি আমরা মানি না। অবরোধে শামিল বাগানের শ্রমিক রমেশ গোয়ালা বলেন, চা বাগান কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের না জানিয়ে শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকিয়ে দিচ্ছে। আমরা ১৬ শতাংশ বোনাস মানছি না তাই বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামছি।
এই ব্যাপারে তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল সোনার যুক্তি দেন, চা বাগানের পরিস্থিতি বিচার করে সমস্ত শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃত্ব উপস্থিতিতেই বোনাস নির্ধারণ হয়েছে। এর আগে অনেক কম বোনাস দেওয়া হয়েছে।
যদিও চা বাগান মালিকপক্ষের সংগঠন ডিবিআইটিএ-র সম্পাদক শুভাশিস মুখোপাধ্যায় জানান, কলকাতায় মালিক পক্ষ ও চা বাগানের শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বের উপস্থিতিতে চুক্তি হয়েছে। চুক্তির পর কিছুই করার থাকে না। এমনকি কিছু চা বাগানের শ্রমিকদের আকাউন্টে বোনাসের টাকাও ঢুকে গিয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে আমরা সমস্ত বিষয়টি নজরে রাখছি।