সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
মঙ্গলবার সকালে ধূপগুড়ি থেকে স্ত্রী দীপশিখা মল্লিককে বাইকে বাসিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। ময়নাগুড়ি বিডিও অফিস সংলগ্ন জাতীয় সড়ক দিয়ে যখন আসছিলেন সেইসময় একটি ডাম্পারের সঙ্গে বাইকের ধাক্কা লাগে। বাইক থেকে ছিটকে পড়েন দু’জনে। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। খবর পেয়ে হাইওয়ে ট্রাফিক পুলিস ও ময়নাগুড়ি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে আসে। স্থানীয়রা জখম দম্পতিকে নিয়ে আসে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে শিলিগুড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সমীর মল্লিককে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। শিলিগুড়িতেই চিকিৎসা চলছে দীপশিখার।
হাইওয়ে ট্রাফিক ওসি হোমেশ্বর পাল বলেন, বাইকটি ধূপগুড়ির দিক থেকে জাতীয় সড়ক ধরেই আসছিল। সার্ভিস রোড থেকে মূল রাস্তায় উঠছিল ডাম্পার। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। ডাম্পারটি আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক।
সমীরের বাবা সুব্রত মল্লিক ধূপগুড়িতে একটি দোকানের কর্মচারী। সমীরের উপার্জনেই মূলত সংসার চলছিল। বছর দু’য়েক আগে বিয়ে করেন। বাবা, মা ও স্ত্রীকে নিয়ে সমীর ধূপগুড়ি সিনেমা হল পাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
মৃত যুবকের কাকা স্বপন মল্লিক বলেন, ভাইপোর এমনভাবে মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে দেওয়ার জন্য পুজোর জামাকাপড় কিনেছিল। স্ত্রীকে নিয়ে বাইকে ৩০০ কিমি দূরে হরিরামপুর যাচ্ছিল। ময়নাগুড়িতে বাইক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ভাইপোর। ওর স্ত্রী দীপশিখাও জখম হয়েছে।