ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
মাত্র আড়াই মাস আগেই এখানে লোকসভা নির্বাচন হয়। তখনও রায়গঞ্জে কোনও গোলমাল হয়নি। প্রায় একই রকম আবহে বুধবার সম্পন্ন হল রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচন। সকালের দিকে হালকা বৃষ্টি হলেও বেলা বাড়তেই ভ্যাপসা গরম। ফলে এদিন দিনভর শহর ও গ্রামের প্রায় সবকটি বুথেই ভোটদাতাদের ছোট ছোট লাইন দেখা গিয়েছে। কোথাও জটলা ছিল না। স্বাভাবিক গতিতেই ভোট হয়েছে দিনভর। এদিন বন্দর আদি কালীবাড়ি এবং দুর্গা মন্দিরে প্রণাম করে ভোট দিতে যান কৃষ্ণ কল্যাণী। সকাল সাতটায় রায়গঞ্জ করোনেশন স্কুলের ১৪১ নম্বর বুথে ভোট দেন তিনি। কৃষ্ণ বলেন, কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার কথা শুনিনি। শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ হয়েছে।
ভোট চলাকালীন রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন বুথে ঘোরার সময় বারবার তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে বিজেপি প্রার্থী মানস ঘোষকে। এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ তিনি রায়গঞ্জ পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ বিদ্যাভবন ১২৩, ১২৪ ও ১২৫ নম্বর বুথে গেলে প্রবল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিকেলে ৪ নম্বর এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের যোগেন্দ্রচন্দ্র মল্লিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলেও তাঁকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়।
মানস ঘোষ বলেন, কে কি বলল আমার কিছু যায় আসে না। এখানে আমাদের পোলিং এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমি পোলিং এজেন্টদের বসাতে গেলে ঘিরে ধরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। বুথের পঞ্চাশ মিটারের মধ্যে বড় জমায়েত করে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট করানো হয়েছে।
বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, প্রত্যেক বুথে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। তবে গ্রামাঞ্চলে কিছু এলাকায় ভোটারদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বেলা দুটোর পর থেকে শহরের ১৫ থেকে ১৬টি বুথে ব্যাপক ছাপ্পা ভোট দেন তৃণমূল কর্মীরা। একই ভাবে রায়গঞ্জের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তত কুড়িটি বুথে ছাপ্পা মারা হয়েছে। ভোট দেওয়ার পর মোহিত সেনগুপ্ত। - নিজস্ব চিত্র।