ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রতুয়ার খাসমহল জুনিয়র হাইস্কুল, জিয়ারুদ্দিন টোলা প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পশ্চিম রতনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুর্গত পরিবারগুলি আশ্রয় নিয়েছে। ফলে ওই স্কুলগুলিতে মানুষ আশ্রয় নেওয়ায় পঠনপাঠন বন্ধ।
খাসমহল, ভাসারাম টোলা, নাসির টোলার বাসিন্দারা নদী ভাঙনের শিকার। তাঁরা এই স্কুলগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন। স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের কলতানে মুখরিত হয়ে থাকার কথা। কিন্তু তার পরিবর্তে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের কলরব, হাহাকার শোনা যাচ্ছে। গভীর উদ্বেগ, আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দিন কাটছে তাদের। এই স্কুলগুলিতে কবে ক্লাস চালু হবে, জানেন না কেউই। রতুয়া নতুন শিক্ষা চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক আশিক শেখ বলেন, চক্রের কয়েকটি স্কুলে এলাকার দুর্গত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন বন্ধ আছে। তবে পড়ুয়াদের পড়াশোনা যাতে ব্যাহত না হয়, তার জন্য এলাকার পাশের অন্যস্কুলে তাদের পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ভাসারাম টোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ও যে কোনও মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। প্রতিবছর ভাঙনের কবলে পড়ে এই এলাকার বাসিন্দাদের ভিটে হারিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ করতে হয়। খাসমহলের বাসিন্দা লাল মহম্মদ, নাসিরটোলার রিয়াজউদ্দিন, জাহাঙ্গীরদের বক্তব্য, আমাদের ভিটেমাটি নদীতে তলিয়ে গিয়েছে। বাধ্য হয়ে সরকারি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছি। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে স্কুলেই পরিবারকে নিয়ে উদ্বেগে দিন কাটছে দুর্গতদের। রিয়াজউদ্দিনের কথায়, নদীর মতিগতি কখন কেমন থাকে তার উপর নির্ভর করছে আমাদের ভবিষ্যত্।
বিডিও রাকেশ টোপ্পো বলেন,খাসমহল জুনিয়র হাইস্কুল, জিয়ারুদ্দিন টোলা প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পশ্চিম রতনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভিটেহারে মানুষদের রাখা হয়েছে। তাদের চাল, ডাল সহ অন্য শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। নদীর পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ব্লক প্রশাসন। নিজস্ব চিত্র