ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
দক্ষিণ জিৎপুরের পঞ্চায়েত সদস্য মৌসুমি দাস বলেন, ডিমাতে সাঁকো করে দেওয়ার দাবিতে গ্রামের লোকজনকে নিয়ে কয়েকদিন আগেই পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি আমরা। কিন্তু, আমি বিরোধী দলের বলে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সাঁকো বানিয়ে দিল না।
যদিও বিবেকানন্দ-২ পঞ্চায়েতের প্রধান রমা তির্কে বলেন, এই অভিযোগ একেবারেই ঠিক নয়। আসলে আর্থিক কারণে দক্ষিণ জিৎপুরে ডিমা নদীতে সাঁকো তৈরি করতে দেরি হচ্ছে। তাছাড়া নদীতে এখন অনেক জল। জল কমলেই সাঁকো তৈরি হবে। ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সঞ্জীব দেবনাথ জানান, উন্নয়নের কাজে তাঁদের পঞ্চায়েত কোনওরকম ভেদাভেদ করে না। আসলে এখন ভরা বর্ষায় সাঁকো বানিয়ে দিতে সমস্যা হচ্ছে। বর্ষার পরে নদীতে জল কমলেই ডিমাতে সাঁকো তৈরি করা হবে।
তবে ঠিক সাঁকো নয়। নদী ভরা থাকার কারণে আপাতত গ্রামবাসীরা এদিন বাঁশ ফেলে নদী পারাপারের একটা ব্যবস্থা করেছেন। এজন্য গ্রামবাসীরা নিজেরাই চাঁদা তুলে বাঁশ কিনেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁশ কিনতে গ্রামবাসী দু’হাজার টাকা চাঁদা তুলেছেন। সেই টাকায় বাঁশ কিনেছেন এদিন। ডিমা নদীর ওপাড়ে দক্ষিণ জিৎপুর গ্রামটি। গ্রামের হাজার হাজার বাসিন্দা শুখা মরশুমে নদী পেরিয়ে দৈনন্দিন কাজে জেলা সদর আলিপুরদুয়ার ও রেল জংশনে আসেন। কিন্তু, ডিমাতে পাকা সেতু না থাকায় বর্ষায় বিপাকে পড়তে হয় গ্রামের লোকজনকে।
যদিও দক্ষিণ জিৎপুরে ওই নদীতে প্রতিবছর শুখা মরশুমে পঞ্চায়েত থেকেই সাঁকো তৈরি করে দেওয়া হয়। এবছরও শুখা মরশুমে সাঁকো বানিয়ে দিয়েছিল পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, দু’সপ্তাহ আগে ডিমার জলের তোড়ে সেই সেতু ভেসে যায়। তারপরই নদী পারাপারে বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা।