ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার আসন জয়ের পর ১৭ জুন রাতে শহরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৮ জুন দুপুরে মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। পরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান। সেই সময় এই দুই স্কুলের পরিকাঠামোগত সমস্যা তাঁর কাছে তুলে ধরে পড়ুয়ারা। সঙ্গে সঙ্গে জেলাশাসককে স্কুল পরিদর্শনের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা স্কুল পরিদর্শন করে তড়িঘড়ি পরিকল্পনা করে স্কুল শিক্ষাদপ্তরে পাঠান। ২০ দিনের মধ্যেই দুই স্কুলের জন্য প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ এসেছে।
বুধবার জেনকিন্স স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রিয়তোষ সরকার এবং চকচকা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবাশিস পালের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তা তুলে দেন জেলাশাসক। চকচকা হাইস্কুলের জন্য ৪৯ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮৫৬ টাকা এবং জেনকিন্স স্কুলের ক্ষেত্রে ২৮ লক্ষ ৯৩ হাজার ৬৪৯ টাকার অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
জেলাশাসক বলেন, মুখ্যমন্ত্রী জেলায় এসেছিলেন। সেই সময় পড়ুয়ারা স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে তাঁকে অনুরোধ করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের স্কুল পরিদর্শন করার নির্দেশ দিয়ে যান। পড়ুয়াদের দাবি মতো পরিকল্পনা ও এস্টিমেট করে স্কুলশিক্ষা দপ্তরে পাঠানো হয়েছিল। আমরা সেই কাজের অনুমোদন পেয়েছি। পূর্তদপ্তরের সোশ্যল সেক্টর জেনকিন্স স্কুলের কাজ করবে। জেলা পরিষদ থেকে চকচকা হাইস্কুলের কাজ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী ওই দুই স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য শুভেচ্ছা বার্তাও পাঠিয়েছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চকচকা হাইস্কুলের দু’টি অতিরিক্ত ক্লাস রুম এবং খেলার মাঠ সংস্কার করা হবে। জেনকিন্স স্কুল হেরিটেজ প্রপ্রারটি। হেরিটেজ থেকে অনেকটা কাজ হয়েছে। ছাত্ররা মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিল ভবন সংস্কারের জন্য। সেজন্য বরাদ্দ পাঠানো হয়েছে।
জেনকিন্স স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রিয়তোষ সরকার বলেন, স্কুলের সায়েন্স বিল্ডিং ও প্রশাসনিক ভবনের রুফ ট্রিটমেন্ট করা হবে। ২০ দিনের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। আমরাও মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাব।
কোভিডের সময় দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ ছিল। এরপর স্কুল খোলা হলে কোচবিহারের জন্য ১৬ কোটি টাকা সংস্কারের জন্য অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। তারমধ্যে আট কোটি টাকা পরিকাঠামো ঠিক করার জন্য পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও সরকারিভাবে নিয়মিত স্কুলের জন্য টাকা আসে। নিজস্ব চিত্র