সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
এদিকে শনিবার চ্যাংমারি পঞ্চায়েতের সাহেববাড়িতে পরিদর্শনে যান রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক। তিনি ত্রাণ বিতরণের তদারকি করেন। তিস্তা বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, পাহাড় ও সমতলে বৃষ্টির কারণে তিস্তার জল বেড়ে গিয়েছিল। ১০০টি বাড়িতে জল ঢুকেছিল। এদিন বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করেছি। ত্রাণের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। ক্রান্তির বিডিও রিমিল সোরেন বলেন, দুর্গতদের পর্যাপ্ত ত্রাণ ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, নাগরাকাটা ও মালবাজার ব্লকে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। দুই ব্লক প্রশাসনই জানিয়েছে, কোথাও এদিন ফ্লাডশেল্টার খোলা ছিল না। তবে মাল ব্লকের গজলডোবা, টোটগাঁও সহ বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
সেচদপ্তরের উত্তর-পূর্ব বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিস্তায় সেভাবে জলস্তর বাড়েনি। গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে যে পরিমাণ জল ছাড়া হয়েছে তার পরিমাণও কম। তবে সেচদপ্তর সতর্ক নজরদারি রাখছে। সমন্বয় রাখা হচ্ছে আবহাওয়া সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরের সঙ্গে। সিকিমে বৃষ্টি হলে পরিস্থিতির বদল ঘটতে পারে।
এদিকে, বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় এদিনই ময়নাগুড়ি বিডিও অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এজন্য ৭৭৯৭৮-৬৩৭০০ সহ বেশ কয়েকটি নম্বর চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি ‘আতঙ্ক নয় সাবধানে থাকুন’ এমন বার্তা দিয়ে ময়নাগুড়ি ব্লক প্রশাসন গ্রামীণ এলাকায় মাইকিং করছে। পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে পঞ্চায়েতের প্রধানদের সঙ্গে ময়নাগুড়ির বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বৈঠক করেছেন। ময়নাগুড়িতে একদিকে জলঢাকা নদী ও অন্যদিকে তিস্তা নদী রয়েছে। পাহাড়ে প্রবল বর্ষণে এই দুই নদীর জলস্ফীতি হয়েছিল।
ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, ময়নাগুড়িতে দোমোহনি-১ পঞ্চায়েত সহ বার্নিশ, ধর্মপুর, পদমতি, আমগুড়ি ও চূড়াভাণ্ডার এলাকায় নজর দেওয়া হচ্ছে। কারণ এই এলাকাগুলি জলঢাকা ও তিস্তার পার্শ্ববর্তী। জল বেড়ে গেলে বাসিন্দারা বিপদে পড়তে পারেন।
ময়নাগুড়ির বিডিও প্রসেনজিৎ কুণ্ডু বলেন, বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় আমরা এখন থেকেই প্রস্তুত। গ্রামবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরে আসতে বলা হয়েছে। আমরা প্রতিটি এলাকায় নজর রাখছি। কোনওভাবেই মানুষের যাতে সমস্যা না হয় সেটা আমরা সবাই দেখব। সেকারণেই প্রত্যেক পঞ্চায়েতের প্রধানদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আমাদের কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকছে। সমস্যা হলে সেখানে যোগাযোগ করতে হবে।