উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এখানকার ইমার্জেন্সি বিভাগের উপরে টিনের চাল ফুটো হয়ে গিয়েছে। তাই বৃষ্টি হলেই জল পড়ে। বিএমওএইচের অফিস রুমেরও ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ে। বর্ষাকালে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে জল দাঁড়িয়ে যায়। ঘরগুলি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে আছে। ওষুধ রাখার স্টোর রুম খুব সংকীর্ণ। টেকনিশিয়নের অভাবে ইসিজি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত সাফাইয়ের অভাবে ক্যাম্পাস আগাছায় ভরে আছে। নালায় বর্জ্য জমে থাকায় মশা, মাছির আঁতুড়ঘর হয়েছে। স্টাফ কোয়ার্টারগুলিও দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে আছে। অথচ এই হাসপাতালে নতুন করে বিল্ডিং বানানোর জন্য এখনও প্রচুর খালি জমি রয়েছে। মায়েদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং সেন্টার করার কথা ছিল। ফাঁকা জায়গা থাকলেও তা এখনও গড়ে ওঠেনি।
ময়নাগুড়ির বাসিন্দা অপু রাউত, অমল রায় প্রমুখ বলেন, জনপ্রতিনিধিরা হাসপাতালের উন্নয়ন করবেন বলে বহুবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তা বাস্তবয়িত হয়নি। আমার মনে হয়, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর এবার শপথ নেওয়া উচিত, ভোটে জিতলে হাসপাতালের উন্নয়ন করবেন। ইসিজির জন্য জলপাইগুড়িতে রেফার করা হয়। প্রার্থীদের কাছে আমরা হাসপাতালের মানোন্নয়নের দাবি রাখব।
বিজেপি নেতা অনুপ পাল বলেন, তৃণমূল সরকার প্রচার করছে প্রচুর উন্নয়ন করেছে। কী উন্নয়ন করেছে সেটা ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে গেলেই বোঝা যাবে। এত পুরনো একটি হাসপাতাল হলেও প্রসূতির সিজারের ব্যবস্থা নেই। চিকিৎসকরা ভাঙা, স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে বসে রোগী দেখেন। অথচ এই হাসপাতালে প্রচুর জায়গা রয়েছে। প্রকৃত উন্নয়ন হবে বিজেপি এলেই।
তৃণমূল নেতা মিতু চক্রবর্তী বলেন, আগের তুলনায় এখন ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। চিকিৎসকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। রোগীর পরিজনদের বসার জায়গা করা হয়েছে। সবকিছু একলাফে হয় না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যজুড়ে উন্নয়ন করেছেন। এখানেও উন্নয়নের ছোঁয়া এসেছে। পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে আমরাও নির্দিষ্ট স্থানে জানিয়েছি।
ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের উপর শুধু ময়নাগুড়ি ব্লকের ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষই নয়, আশেপাশের মাল ও ধূপগুড়ি ব্লক সহ কোচবিহার জেলার একাংশ রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন এখানে আউটডোরে গড়ে ৬০০ জন রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। মাত্র ছ’জন চিকিৎসককে ইন্ডোরের ৬০টি বেডে ভর্তি রোগীর চিকিৎসার পাশাপাশি আউটডোর সামলাতে হয়।