উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এই পরিকল্পনায় স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীগুলির যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হবে, তেমনই ভোটকর্মীদেরও খাদ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা আর থাকবে না।
মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) বৈভব চৌধুরী বলেন, স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ভোটকর্মীদের খাওয়ার সরবরাহের কাজে যুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্ধারিত মূল্যে ভোটকর্মীরা যেন নির্বাচনের দিন সহজেই খাওয়ার পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ। জেলাশাসকের উদ্যোগে বিষয়টি নিয়ে পরিকল্পনা চলছে। ভোট চলাকালীন খাওয়ার ও পানীয় জল ভোটকর্মীরা হাতের কাছেই পেলে তাঁদেরও সুবিধা হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য জেলার মতো মালদহেও আনন্দধারা প্রকল্প রয়েছে। বেশ কিছু স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী এই প্রকল্পের আওতায় সুলভ মূল্যে খাওয়ার তৈরি ও বিক্রি করে আর্থিক স্বনির্ভরতার সন্ধান পেয়েছেন। একইভাবে নির্বাচনের দিনও ভোট কেন্দ্রগুলির সংলগ্ন এলাকায় খাওয়ার তৈরি করে সেগুলি ভোটকর্মীদের মধ্যে সরবরাহ করা যেতে পারে। এমনটাই মনে করছেন নির্বাচন দপ্তরের আধিকারিকরা।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে দৈনন্দিন ঘরোয়া খাওয়ারই থাকছে ভোটের দিনের মেনুতে। চা, বিস্কুট, পুরি-সব্জি, টোস্ট ও ডিমের অমলেট বা অন্যান্য পদ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে খাদ্যতালিকায়। একই সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজনের জন্য নিরামিষ থালি, মাছ-ভাত, ডিম-ভাত, মুরগি বা খাসির মাংস– ভাতও থাকার কথা মেনুতে। থাকছে রুটি এবং সব্জিও।
ভোটের দায়িত্ব সারতে সারতেই নির্ধারিত মূল্যের বিনিময়ে গরম খাওয়ার হাতে পেতে পারবেন ভোটকর্মীরা। খাওয়ারের মূল্য যেন সাধ্যের মধ্যে থাকে, তা নিয়েও বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রতিবেশী মুর্শিদাবাদ জেলায় এই ব্যবস্থা চালু হয়ে গিয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। সে জেলার ভোটকর্মীদের জন্য নির্ধারিত একটি মেনু ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ঘোরাফেরা করছে। তার সত্যতা অবশ্য যাচাই করে দেখেনি বর্তমান পত্রিকা।
জনৈক ভোটকর্মী বাপি চক্রবর্তী বলেন, ভোটের দিন খাওয়ার নিয়ে সমস্যা হয়। এমন জায়গায় ডিউটি পরে যেখানে টাকা দিলেও পছন্দ মতো খাওয়ার পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। নির্দিষ্ট রেট চার্ট অনুযায়ী স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীগুলির কাছ থেকে খাওয়ার পাওয়া গেলে আমাদের সমস্যা কমে। জেলা প্রশাসনের এই পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত এক মহিলা রেবতী চৌধুরী বলেন, ভোটের দিন খাওয়ার সরবরাহ করার সুযোগ পেলে আমরাও খুশি হব। হাতে দু’টো টাকা আসবে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিড ডে মিল রান্নার ব্যবস্থা থাকেই। ভোটকেন্দ্রও মূলত হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতেই। তাই রান্না করে খাওয়ার সরবরাহ করতে খুব একটা সমস্যা হবে না।