উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৫ বছর আগে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পে ওই এলাকার রাস্তা ও সেতু নির্মাণ হয়েছিল। বেশ কয়েকটি হিউমপাইপের উপর তৈরি প্রায় ১০০ ফুট সেতুটি নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যেই বর্ষায় জলস্রোতে ভেঙে যায়। ফলে দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে এলাকার সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চলছে। সমস্যার ব্যাপারে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছে। তাই গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগেই পাশে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। সেটাও প্রতিবছর বর্ষার সময়ে ভেঙে যায়। এখন নড়বড়ে সাঁকোই ভরসা।
স্থানীয়দের দাবি, সেতুটি সংস্কারের জন্য একাধিকবার মন্ত্রী-আমলারা পরিদর্শন করে গিয়েছে। তাঁরা সেতুটি বানিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দিলেও তা হয়নি। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরে সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, সেতুর জন্য অর্থ অনুমোদন হয়নি। দুর্ভোগ সঙ্গে নিয়ে রোজদিন সেতু পারাপার হওয়া স্থানীয় বাসিন্দারা তাই ক্ষুব্ধ। ভোটের প্রচারে ডান-বাম যে রাজনৈতিক দলের লোকজনই আসুক না কেন সকলের কাছে সেতুর সংস্কার কিংবা নতুন করে সেতু বানিয়ে দেওয়ার আর্জি গ্রামবাসীরা রাখবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা কুলিন সিংহ, উত্তম সিংহ, সুদীপ কুজুর, সীতা সিংহ প্রমুখ বলেন, প্রশাসনিক মহলে বহুবার আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু সেতু নির্মাণের ব্যাপারে কারও মাথাব্যাথা নেই। প্রত্যন্ত এলাকা বলে আমাদের সমস্যার কথা কেউ কানে তোলে না। প্রার্থীদের কাছে সমস্যার কথা তুলে ধরব। খড়িবাড়ির বিডিও নিরঞ্জন বর্মন বলেন, ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে তাই নতুন কোনও প্রকল্পের কাজ শুরু করা যাবে না। তবে এ বিষয়ে জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে আলোচনা করে দেখব। যদিও এটি অনেক টাকার কাজ। এ জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরে জানানো হয়েছে। বর্ষাকালে নদীর জল বেড়ে গেলে স্থানীয়রা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। শুখা মরশুমে নদীতে জল থাকে না। তখন গ্রামবাসীরা হেঁটে, সাইকেলে বা মোটর বাইকে করে নদী পারাপার করেন। বর্ষার সময়ে বাঁশের সাঁকোই ভরসা তাঁদের। ওই সেতু পার করে বুড়াগঞ্জের পড়ুয়াদের স্কুলে যেতে হয়। খড়িবাড়িতে তিনটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল, চারটি প্রাইমারি স্কুল, ১০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, পাঁচটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও খড়িবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল, খড়িবাড়ি বিডিও অফিস, বুড়াগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস, বাজার ও অন্যান্য কাজে যাতায়াত করার জন্য এলাকার সাধারণ মানুষের ভাঙা সেতু আর নড়বড়ে সাঁকোই ভরসা। বিকল্পভাবে তেলেঙ্গাজোত হয়ে প্রায় ১০ কিমি ঘুরপথে চলাচল করতে হয়। ব্লকের গুয়াবাড়ি, দ্বারাবক্স, বক্তারভিটা, সুবলজোত, সিঙিভিটা, কালিডাঙা, ধুলিয়াজোত, রামভোলা, বির্তানজোত, ঝড়ুজোত, থারুভিটা, বালুজোত, রাঙ্গালি, ডাঙারভিটা, বড় দেওয়ানভিটা, ছোট দেওয়ানভিটা, কুচিয়াজোত, হাতিডোবা, খুড়িয়াজোত, রাইমতিজোত, নাজিরজোত, চন্দ্রমোহন সহ একাধিক গ্রামের লোকজন এই পথ ব্যবহার করে।