পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
ছ’মাস আগে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরানো হয়েছিল বঙ্গবন্ধু ভবনে। বুধবার দু’টি বুলডোজার এনে সেই অগ্নিদগ্ধ বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এদিন সকালেও অবশ্য ভাঙচুর থামেনি। উন্মত্ত জনতা হাতে তুলে নেয় শাবল-হাতুড়ি। তখনও ৫ নম্বর ধানমন্ডি রোডে হাসিনার বাড়ি ‘সুধা সদনে’র দোতলায় আগুন নেভেনি। বাড়ির সামনে পড়ে ফ্রিজ, খাট, ওয়ারড্রোব, সোফা সহ নানা সামগ্রী। ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বঙ্গবন্ধু ভবন-মিউজিয়ামে ফিরে এসেছে অবাধে লুটপাটের স্মৃতি। আল আমিন নামে জনৈক ব্যক্তি লোহার কিছু কাঠামো নিচ্ছিলেন। এসব নিয়ে কী করবেন? জানতে চাইলে ওই ব্যক্তির জবাব, ‘বিক্রি করে দিমু। সেই টাকায় ভালোমন্দ খামু।’ নামাজ শেষে আসতে দেরি হওয়ায় অনেকের রাগ গিয়ে পড়ে বাগানে থাকা নারকেল গাছের উপরে। গাছটি কেটে ফেলে কয়েকজনকে ডাব ছিঁড়ে নিতে দেখা যায়। বিকেল ৪টে নাগাদ গোরু জবাই করে সেখানে পালিত হয় ‘উৎসব’।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অন্তত ৩০০ স্থানে হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। সকালেই নোয়াখালীতে আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় মারমুখী জনতা। ঝালকাঠিতে হামলা চলে প্রাক্তন মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর বাসভবনে। রাজশাহীতে প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী, বরিশালে প্রাক্তন মেয়র সাদিক আবদুল্লার বাড়িও আক্রান্ত হয়। পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, ঈশ্বরদী ও মাদারীপুরে আওয়ামি লিগের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তাতে অবশ্য ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কোনও হেলদোল নেই। উল্টে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের বিবৃতি, ‘এটা হাসিনার উস্কানির জেরে জনগণের ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ।’ চাপা হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে নয়াদিল্লিকেও। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনুস সরকার। একই সুর জামাতের আমির শফিকুর রহমান এবং বিএনপির হাফিজউদ্দিন আহমেদের গলায়। যদিও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল গোটা ঘটনাপ্রবাহের তীব্র নিন্দা করেছে।
আশার কথা হল, এই উন্মত্ততার মধ্যেও শোনা গিয়েছে প্রতিবাদ। ‘মুজিবের বাড়ি ভাঙছেন কেন?’ প্রশ্ন তোলায় বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে এক মহিলা সহ দু’জনকে ব্যাপক মারধর করা হয়।