ঢাকা: রাজধানী ঢাকায় বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের বাসভন গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় পরোক্ষে ইন্ধন দিয়েছে ইউনুস সরকার। উন্মত্ত জনতাকে নিয়ন্ত্রণের কোনও চেষ্টা করেনি পুলিস। দাঁড়িয়ে ছিল সেনাবাহিনী। অথচ আওয়ামি লিগের কোনও কর্মসূচি বানচাল করতে প্রশাসন রণমূর্তি নেয়। মৌলবাদীদের তুষ্ট করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে অন্তর্বর্তী সরকারের যে মুখ পুড়েছে, তা একথা কার্যত স্বীকার করে নিলেন দেশটির বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসও। এই ঘটনাকে ‘অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত’ আখ্যা দিয়েও এর দায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাঁধে চাপিয়েছেন তিনি। এদিকে, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রদের উদ্দেশে বার্তা দেন মুজিব-কন্যা। তিনি বলেন, ‘ওরা বাড়ি গুঁড়িয়ে দিতে পারে, কিন্তু ইতিহাস মুছে দিতে পারবে না। ইতিহাস এর বদলা নেবে। আসলে ওরা এই বাড়িটিকে ভয় পায়।’ এর রেশ ধরে নাম না করে ইউনুস সরকারকেও একহাত নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘লক্ষ লক্ষ মানুষের আত্মবলিদানে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। বুলডোজার চালিয়ে দেশের পতাকা, সংবিধান ও স্বাধীনতাকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা ওদের এখনও হয়নি।’
ইউনুসের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে, যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।’ এই বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা পরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করা হয়। সে সময় ঢাকার তরফে একটি প্রতিবাদপত্র তুলে দেওয়া হয়। ভারতে বসে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসিনার বিবৃতি দু’দেশের মধ্যে সুস্থ সম্পর্ক স্থাপনের সহায়ক নয় বলে দাবি ইউনুস সরকারের। যে কারণে হাসিনাকে বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত রাখতে নয়াদিল্লির কাছে অনুরোধ করেছে ঢাকা।