কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
অসম পুলিস আব্বাসকে জেরা করে আগেই জেনেছিল, ফারহান ২০২৩ মুর্শিদাবাদে ক’দিন কাটিয়ে গিয়েছে। ফারহান এখানে থাকার সময় আব্বাসের ফোন ব্যবহার করত। এই নম্বর থেকেই সে কথা বলেছে জেলবন্দি তারিকুলের সঙ্গে। আব্বাসের সঙ্গেই সাক্ষাৎপ্রার্থী হয়ে ফারহান বহরমপুর জেলে গিয়েছিল। তারিকুলকে সে বুঝিয়ে দিয়েছিল, কীভাবে জেলে অন্য অভিযুক্তদের মগজ ধোলাই করার সঙ্গেই নেটওয়ার্ক বাড়ানোর কাজ করতে হবে। তদন্তকারীরা বুঝতে পারছেন, শুধু ফারহান বা আব্বাস নয়, এবিটি’র সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তি তারিকুলের সঙ্গে জেলে দেখা করে গিয়েছে। কারা কারা তার সাক্ষাৎপ্রার্থী হয়েছে, জানতে জেল থেকে রেজিস্টার চেয়ে পাঠাচ্ছেন গোয়েন্দারা। কেউ নাম পরিচয় গোপন করে রেজিস্টার খাতায় নাম লিখিয়েছিল কি না, সেটাও তদন্তকারীদের আতস কাঁচের তলায়। পাশাপাশি তারিকুলের সাক্ষাৎপ্রার্থী হওয়া ব্যক্তিরা জেলে কী নথি জমা দিয়েছিলেন, সেটিও চাওয়া হচ্ছে বলে খবর। যাতে সেখান থেকে চিহ্নিত করা যায়, জমা পড়া নথি জাল কি না!
তদন্তে উঠে এসেছে, সংগঠন চাঙা করার জন্য টাকা তুলছিল তারিকুল। কিন্তু কাদের কাছ থেকে সে অর্থ জোগাড় করছিল এবং হাসিনা সরকার পতনের পর কেন এবিটির গতিবিধি বাড়ল বাংলা তথা গোটা দেশে এই নিয়ে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। জেরায় তারিরুল জানিয়েছে, ধর্মচর্চা করায় অনেকেই তাকে গুরু হিসেবে মানত। জেলবন্দি গোরু পাচারকারী, বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের কারবারি বা মাদক ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে সে। তাদের কাছে টাকা চাওয়া হয় সংগঠনের জন্য। সকলেই তারিকুলকে অর্থ দিতে রাজি হয়। নগদ টাকা যায় তারিকুলের স্ত্রীর কাছে। এর বাইরে জেল থেকে এবিটির প্রতি সহানুভুতিশীল ব্যক্তিদের ফোন করে টাকা তোলে তারিকুল ওরফে সুমন। এই টাকা তার স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে এসেছিল। পাশাপাশি জেলে থাকা ইন্টারনেট সংযোগের সূত্র ধরে গোয়েন্দারা জানতে চাইছেন তারিকুলের সঙ্গে কাদের কাদের মেসেজ আদানপ্রদান হয়েছে। কোন কোন সাইট ব্যবহার করেছে তাও এখান থেকে জানা যাবে। সেই কারণে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।