পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
হরবিন্দর বলেন, ‘ব্রাজিলে আমাকে বলা হল, পেরু থেকে আমেরিকা যাওয়ার বিমান পাওয়া যাবে। তবে সেখানে কোনও বিমান ছিল না।’ অগত্যা ট্যাক্সি করে কলম্বিয়া। এরপর পানামা। সেখানে হরবিন্দরদের বলা হয়, জাহাজে করে পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে সেখানে কোনও জাহাজ ছিল না। এইবার টনক নড়ে। বুঝে যান, এবার তাঁকে কুখ্যাত ডাঙ্কি রুট ধরতে হবে। দু’দিন ধরে চলেছিল সেই রুটে তাঁর যাত্রা। কেমন সে পথ? হরবিন্দর জানালেন, পাহাড়ি পথ শেষ হলে একটি ছোট নৌকায় তাঁদের গাদাগাদি করে তোলা হয়। সেই নৌকা চলে মেক্সিকো সীমান্তের দিকে। পথে একবার নৌকাডুবির সম্মুখীন হতে হয়। তাতে মৃত্যু হয় এক সহযাত্রীর। আরও একজনের মৃত্যু হয় পানামা জঙ্গলে। বাকিরা সামান্য ভাত খেয়ে বেঁচে ছিল।
৭২ লক্ষ টাকা খরচ করেও স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় কাতর ২০ বছরের আকাশ। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে ডাঙ্কি রুটে পানামা এবং মেক্সিকোয় যাত্রাপথের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। হরিয়ানার কার্নালের বাসিন্দার ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পানামার ঘন জঙ্গলের মধ্যে অন্যদের সঙ্গে ক্যাম্পে রয়েছেন আকাশ। আর জল ভেঙে এগিয়ে চলেছেন বহু মহিলা এবং শিশু। জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ দিক দিয়ে মার্কিন মুলুকে পৌঁছনোর দু’টি বেআইনি পথ রয়েছে। একটি মেক্সিকো সীমান্ত পার করে সরাসরি পৌঁছে যাওয়া। তবে সেই পথে নজরদারি বেশি হওয়ায় অনেকেই ডাঙ্কি রুট দিয়ে আমেরিকায় পৌঁছনোর চেষ্টা করেন। আকাশের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেক্সিকো দিয়ে তাঁকে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এজেন্ট। তাই টাকাও বেশি দেওয়া হয়। এরপরেও ডাঙ্কি রুটে আকাশকে যেতে বাধ্য করা হয়।