পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
একদিকে এই অসম্মান এবং অন্যদিকে ট্রাম্পের নতুন আমদানি শুল্ক নীতি। ভারত রীতিমতো কোণঠাসা। সবথেকে অস্বস্তিকর হল ১২ ফেব্রুয়ারি মোদি যাচ্ছেন ওয়াশিংটনে। তাঁর সফরের প্রাক্কালে ভারতীয়দের এভাবে বন্দি করে ফেরত পাঠানোয় বিরোধীরা আক্রমণ শানিয়েছে কেন্দ্রকে। জানা যাচ্ছে, নিজেকে বিশ্বগুরু দাবি করা মোদির মার্কিন সফরে ভারত নতুন একটি বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে চলেছে। ট্রাম্প সরকারকে সন্তুষ্ট করার জন্যই। ওই নয়া বাণিজ্য চুক্তির জেরে আমেরিকা থেকে ভারত আরও বেশি করে প্রযুক্তি, তেল এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় করবে। একইসঙ্গে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক মার্কিন সরকারকে অনুরোধ করবে প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরের আগে আর যেন বেআইনিভাবে থাকা ভারতীয়দের ওরকম অসম্মানজনকভাবে ফেরত পাঠানো না হয়। মোদির মার্কিন সফরকালে দলে দলে অনুপ্রবেশকারী ভারতীয়কে হাতে পায়ে শিকল পরিয়ে সামরিক বিমানে তুলে ভারতে পাঠানো হচ্ছে, এই চিত্র ভারত সরকারের জন্য চরম লজ্জাজনক।
ভারত সরকার এতটাই কোণঠাসা যে সংসদে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ২০১২ সালের চুক্তি অনুযায়ী এভাবে অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করে ফেরত পাঠানো বেআইনি নয়। উভয় পক্ষই এটা করতে পারে। তবে আমাদের অনুরোধ, পাঠানোর সময় ভারতীয়দের সঙ্গে মার্কিন সরকার যেন দুর্ব্যবহার না করে। মানবিকতার সঙ্গে বিষয়টা যেন দেখা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এই ইস্যুতে সরকারকে কোণঠাসা করতে তৈরি ছিল বিরোধীরা। তাই কংগ্রেসের একের পর এক সাংসদ লোকসভায় জমা দিয়েছিল মুলতুবি প্রস্তাব। তা অবশ্য গ্রাহ্য হয়নি। তাই বেলা ১১টায় সভা বসতেই কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধীরা প্রতিবাদে সরব হয়। লোকসভার ‘ওয়েলে’ নেমে তুলল সরকার বিরোধী স্লোগান। যার জেরে দফায় দফায় হল মুলতুবি।প্রতীকী প্রতিবাদে হাতে হাতকড়া পরে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, জেএমএমের মতো বিরোধীরা। গোড়ায় ছিল না তৃণমূল। পরে অবশ্য বেলা দুটোয় লোকসভা বসলে দলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ই শুরু করেন মোদি বিরোধী স্লোগান। গলা মেলান বাকিরা। একইভাবে সভার বাইরে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কটাক্ষের সুরে বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আর মোদিজি তো দোস্ত। তাহলে কেন এমন অমানবিক ঘটনা আটকাতে পারলেন না প্রধানমন্ত্রী? কেনই বা তিনি চুপ?