শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ। ডাক্তার, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, হস্তশিল্পী প্রভৃতিদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ
মৃত্যুর সংখ্যা যে গোপন করা হচ্ছে, সেটা আর নিছক অভিযোগ ও সন্দেহের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সংসদেই বিবৃতি দাবি করা হয়েছে। বাজেট অধিবেশন শুরু আজ। তার প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে সরকারের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে একঝাঁক বিরোধী দল মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা পার্লামেন্টে জানানোর দাবি তুলেছে। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মনোজ কুমার ঝা, সমাজবাদী পার্টির রামগোপাল যাদবরা এদিন সরকারপক্ষকে বলেন, কুম্ভমেলায় মৃত্যুর সংখ্যা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আমরা খবর পাচ্ছি, আদতে মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি। সংসদে বিবৃতি দিক সরকার। মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’র সদস্যরা এই দাবিকে সমর্থন করায় বিস্তর চাপে সরকারপক্ষ।
যোগী সরকার অবশ্য এরপরও মচকাচ্ছে না। কুম্ভমেলায় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর পাশাপাশি প্রশাসনিক ব্যর্থতাও আড়াল করতে তৎপর তারা। উপ মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বলেছেন, ‘বিচারবিভাগীয় কমিশনকে বলা হয়েছে প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে। বিশেষ করে আমরা জানতে চাই, এর পিছনে কোনও চক্রান্ত ছিল কি না। ইচ্ছাকৃতভাবে বিশৃঙ্খলা ঘটানো হয়নি তো?’ চক্রান্ত তত্ত্বের কারণ খতিয়ে দেখতে আজ শুক্রবারই তিন সদস্যের বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন যাচ্ছে ঘটনাস্থলে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হর্ষ কুমার এর নেতৃত্বে। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তদন্তের অগ্রাধিকার একটাই—কেন এবং কীভাবে ঘটল এই ঘটনা।’ কেন চক্রান্তের থিওরি উঠছে? কারণ প্রয়াগরাজ পুলিসের প্রাথমিক রিপোর্ট হল, ব্যারিকেডের উল্টোদিকে বিরাট ভিড় অপেক্ষা করছিল। সেখানে ব্যারিকেড টপকে কেন একটি বড় দল ওই ভিড়ের উপরই ঝাঁপ দিল? কারা তারা? যদিও বিরোধীদের দাবি, এই সবই হল এখন মুখরক্ষার ফর্মুলা! রেল দুর্ঘটনা থেকে কুম্ভ, সর্বদাই সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে অন্তর্ঘাত আর ষড়যন্ত্রের চিত্রনাট্য রচনা করে। মৌনী অমাবস্যাতেও অন্যথা হচ্ছে না।