নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ‘ভুয়ো’ ভারতীয়দের চিহ্নিত করতে মোদি সরকারের প্রশাসনিক প্রক্রিয়া যেন শেষই হচ্ছে না। নিজেদের তৈরি করা ব্যবস্থা বা আইনকেই যথেষ্ট মনে হচ্ছে না তাদের। তাই একের পর এক আইন আনতে হচ্ছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ), এনআরসি ইত্যাদি নিয়ে বিগত পাঁচ বছর ধরে চলছে মোদি সরকারের অবৈধ নাগরিকত্ব বিরোধী অভিযান। এবার আসবে আবার নতুন আইন। ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স আইন। প্রধানত বাংলাদেশ এবং মায়ানমারে ঘটে যাওয়া সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে বিপুল অনুপ্রবেশ সম্ভাবনা ঠেকাতে এবং ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে এই আইন ব্যবহার করা হবে বলে দাবি সরকারি কর্তাদের। আজ থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। রাষ্ট্রপতির ভাষণ এবং অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে শুরু হওয়া অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ শনিবার হবে বাজেট পেশ। এই অধিবেশনে ১৬টি বিল পেশ হওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই তালিকায় রয়েছে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স বিল। জল্পনা তুঙ্গে যে, এই বিলের প্রতিপাদ্য কী? এই বিলের লক্ষ্য সম্ভবত ১৯৪৬ সাল থেকে চলে আসা ১৪ ফরেনার্স অ্যাক্টকে বাতিল বা তা সংশোধন করে নতুন আইন আনা। যদিও এই বিল এখনও মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়নি।
আগামী বছর বাংলা ও অসমে ভোট। তার আগেই অনুপ্রবেশকে আবার একটি বড়সড় ইস্যুতে পরিণত করছে বিজেপি। সেই ভোটের দিকে তাকিয়েই কি এই অনুপ্রবেশ বিরোধী নয়া আইন? পুনরায় এনআরসির ছায়া নেই তো এই বিল আনার পিছনে? এই প্রশ্নগুলি উঠছে রাজনৈতিক মহলে। জানা গিয়েছে, এই বিলে নাগরিকত্ব পাওয়া সন্দেহভাজন অনুপ্রবেশকারীদের কাছে থাকা নথিপত্র আবার যাচাই করার সুযোগ থাকতে পারে। অর্থাৎ কারা কীভাবে ভারতীয় নথিপত্র পেল, সেটা খতিয়ে দেখতে পারবে কেন্দ্র। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ যে, অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে জাল নথি তৈরি করে হয়ে যাচ্ছে বৈধ নাগরিক। এই ব্যবস্থা বন্ধ করতে নয়া আইন। যদিও এই আইনকে অস্ত্র করে বৈধ নাগরিকদের হেনস্থা করা হবে না তো? সেই প্রশ্নও উঠছে।