শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ। ডাক্তার, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, হস্তশিল্পী প্রভৃতিদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ
এ ধরনের উৎপাদন সংস্থাগুলি কোম্পানি আইন মেনে সরকারি খাতায় নথিভুক্ত নয়। মূলত ব্যক্তি মালিকানাধীন কিংবা অংশীদারিত্বে চলা ছোট ছোট কারখানা। যেমন লেদ, গ্রিল ইত্যাদি ধরনের। স্বাভাবিকভাবে এসমস্ত সংস্থায় কর্মীসংখ্যাও কম। বুধবার ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই অনথিভুক্ত সেক্টর সংক্রান্ত বার্ষিক সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এনএসও। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষে অনথিভুক্ত উৎপাদন ক্ষেত্রে চাকরি করছেন ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ। অথচ এই সেক্টরই ২০১০-১১ অর্থবর্ষে মনমোহন জমানায় ৩ কোটি ৪৯ লক্ষ মানুষের হাতে কাজ জুগিয়েছিল। অর্থাৎ, ১২ লক্ষ কর্মসংস্থান কমে গিয়েছে এই ১৪ বছরে। এই বিপুল কর্মী কোথায় গেলেন? কাজ হারিয়ে বেশিরভাগকেই অসংগঠিত ক্ষেত্রে চলে যেতে হয়েছে।
মজার বিষয় হল, ওই ১৪ বছরেই এধরনের সংস্থার সংখ্যা ১ কোটি ৭২ লক্ষ থেকে বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ১৪ লক্ষ। অথচ কর্মসংস্থান বাড়েনি। অর্থনীতির একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে অনথিভুক্ত সেক্টর। বিপুল সংখ্যক মানুষের রুটি-রুজির সংস্থান হয় এখানেই। সেখানে কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার কারণ কী? এব্যাপারে মোদি সরকারের নীতিগত ব্যর্থতার দিকেই আঙুল তুলেছেন এনএসও-র প্রাক্তন কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান পি সি মোহনন। তাঁর মতে, মোদি জমানায় নোট বাতিল, জিএসটির চালু, সেইসঙ্গে কোভিড পর্বে অপরিকল্পিত লকডাউনের ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি এই ক্ষেত্র। তাঁর সঙ্গে একমত দেশের প্রাক্তন মুখ্য পরিসংখ্যানবিদ প্রণব সেনও। তাঁর দাবি, মোদি সরকারের ওই সব নীতির কারণে পুরনো অনেক সংস্থাতেই তালা ঝুলেছে। এখন নতুন নতুন সংস্থা গড়ে উঠছে। কিন্তু পুরোদস্তুরভাবে দাঁড়াতে তাদের আরও সময় লাগবে।