কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
দাবি সেই একই—এমএসপিকে আইনের আওতায় আনতে হবে। কিন্তু নারাজ কেন্দ্র। কৃষকরা ঠায় সীমানায় বসে। কিন্তু মোদি সরকার কথা পর্যন্ত বলতে চাইছে না। অনশনরত কৃষক নেতা জগজিৎসিং দাল্লেওয়ালের শারীরিক অবস্থার ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। মানবিকতা পর্যন্ত দেখাচ্ছে না পুলিস-প্রশাসন। এই পরিস্থিতির মধ্যেই এদিন শম্ভু সীমানার আন্দোলন মঞ্চেই কীটনাশক খান ৫৫ বছর বয়সি কৃষক রেশম সিং। কালবিলম্ব না করে তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন রেশমকে। সেই খবর পাঞ্জাব, হরিয়ানার সীমানা এলাকায় পৌঁছতেই পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তাল হয়ে ওঠে। মোদি বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। সীমানায় একের পর এক জড়ো করা হয় ট্রাক্টর। পুলিস-প্রশাসনের আশঙ্কা ছিল, আচমকাই দিল্লিতে ঢোকার চেষ্টা করতে পারেন বিক্ষোভরতরা। সেই আশঙ্কায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় সীমানাজুড়ে। অ্যালার্ট জারি হয় দিল্লি, হরিয়ানা এবং দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের সীমানাতেও।
সামনেই দিল্লি বিধানসভা ভোট। তার আগে আন্দোলন মঞ্চে একের পর এক কৃষকের আত্মহত্যায় চাপ বাড়ছে বিজেপির উপর। বিরোধীরা বিষয়টিকে নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম ইস্যু করতে পারে। ফলে মরিয়া হয়ে সুরাহার উপায় খুঁজছে বিজেপি। যদিও কৃষকরা কেন্দ্র এবং বিজেপিকে একসুরে আক্রমণ করেছেন। তুমুল ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, ‘দেশের গরিব কৃষকদের নিয়ে কেন্দ্রের কোনও মাথাব্যথা নেই। তাঁরা বাঁচলেন, নাকি মরলেন, তা নিয়ে বিজেপি ভাবছেই না।’ কিষান মজদুর মোর্চার তোপ, ‘৭০ বছর বয়সি কৃষক নেতা জগজিৎসিং দাল্লেওয়াল এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অনশন করছেন। এখন তাঁর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। এরপরেও মোদি সরকারের কোনওরকম মাথাব্যথা নেই। ফলে রণজোধ সিং কিংবা রেশম সিং— কারও মৃত্যুতেই এই বিজেপি সরকারের ঘুম ভাঙবে তেমন আশা করছি না। আমাদেরই যা করার করতে হবে।’ কৃষক সংগঠনের এহেন মন্তব্যকে যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিন কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। তাদের সাফ কথা, ক্ষমতা থাকলে এমএসপি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী বিভ্রান্ত করছেন। আজ, শুক্রবার পাঞ্জাব, হরিয়ানার সীমানা এলাকায় যাবে কিষান মোর্চা নেতৃত্ব।